‘টাকার জন্য সব করতে পারে’, ওয়াসিম-ওয়াকারকে আক্রমণ রশিদের

wasim-waqar and rashid latif

সাবেক দুই সতীর্থ ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসের প্রতি তীব্র রাগ ঝাড়লেন রশিদ লতিফ। প্রাক্তন এই পাকিস্তানি উইকেটকিপার ওয়াসিম-ওয়াকারকে এক ব্র্যাকেটে রেখে তাদের 'দুবাই বয়েজ' বলে আখ্যা দিয়েছেন। এই দুই কিংবদন্তি নাকি টাকার জন্য সবই করতে পারেন!

চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চরম ব্যর্থ হয় পাকিস্তান দল। ঘরের মাঠে তাদের এই ব্যর্থতা নিয়ে চলছে বিস্তর সমালোচনা। স্বাভাবিকভাবে সেই সমালোচকদের অগ্রভাগে ওয়াসিম-ওয়াকার। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দুবাই থেকে শো করে বিভিন্ন দিক তোলে ধরে আলোচিত হচ্ছেন তারা।

এবার সেই টিভি শো'র প্রসঙ্গ ধরেই ওয়াসিম-ওয়াকারকে রীতিমতো ব্যক্তি আক্রমণ করে বসলেন রশিদ। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বললেন,  'দুবাইর ছেলেরা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তারা এখন একে অন্যের পিঠ চাপড়ে দিচ্ছে। অথচ গোটা ক্যারিয়ারে দুজন লড়াই করেছে যেটা পাকিস্তান ক্রিকেটকে আক্রান্ত করেছিল। আজব মানুষ তারা। তাদের সামনে টাকা ছেড়ে দেন, তারা যেকোনো কিছু করবে।'

গোটা নব্বুই দশকে বিশ্ব ক্রিকেটে প্রভাব বিস্তার করেছেন ওয়াসিম-ওয়াকার। তবে তাদের এই প্রভাবে পাকিস্তানের কোন অর্জন খুঁজে পাচ্ছেন না রশিদ। তার মতে পাকিস্তান বড় কিছু জেতেনি এই সময়ে, '১৯৯০ দশকে যারা খেলেছে আমি সবার ভক্ত কিন্তু লিগ্যাসির কথা যদি বলেন তারা পাকিস্তানের ক্রিকেটকে কিছু দেয়নি। তারা কোন আইসিসি আসর জেতেনি- তারা (বিশ্বকাপ ১৯৯৬, ১৯৯৯ ও ২০০৩ বিশ্বকাপে হেরেছে। আমরা একবার ফাইনালে উঠেছিলাম (১৯৯৯ সালে) এবং বাজেভাবে হেরেছি।'

১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ওয়াসিম। ওয়াকার অবশ্য সেই বিশ্বকাপ খেলেননি। আইসিসি আসর না জিতলেও অনেক টুর্নামেন্টই তারা দেখান ঝলক।

'নব্বুই দশকের' উদাহরণ টানায় বেশ চোট লেগেছে ওয়াকারের। এক্স একাউন্টে তিনি তুলে ধরেন এই সময়ে তাদের দুজনের সম্মিলিত অবদান। নব্বুই দশকে ওয়াসিম-ওয়াকার একসঙ্গে খেলেন ১৯১ টেস্ট, ৬১৮ ওয়ানডে। তাতে তাদের অর্জন ১৭০৫ উইকেট। রানও করেন ৮৫৯৪। দুজনে মিলে ৬৬বার ৫ উইকেট, ১০বার ১০ উইকেট নেন।

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে এমন প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়ানো নতুন কিছু নয়। একজন আরেকজনকে প্রায়ই আক্রমণ করেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

9m ago