বাংলাদেশের হারের কারণ জানালেন শান্ত

ছবি: এএফপি

নবম ওভারে ৩৫ রানে পড়ে গেল ৫ উইকেট। তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিকের রেকর্ড জুটিতে সেই ধাক্কা সামলালেও বাংলাদেশের পুঁজি হলো সাদামাটা। পরে বোলিং আর ফিল্ডিংয়েও ধুঁকল টাইগাররা। ম্যাচের পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তিন বিভাগ নিয়েই হতাশা প্রকাশ করলেন। তবে শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয়কে হারের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন তিনি।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে বাজেভাবে। বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে পরাস্ত হয়েছে তারা। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তাদের ছুড়ে দেওয়া ২২৯ রানের লক্ষ্যে ভারত পৌঁছে যায় ২১ বল হাতে রেখে। ম্যাচসেরা শুবমান গিল অপরাজিত থাকেন ১২৯ বলে ১০১ রানে। মোহাম্মদ শামি ৫৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে রাখেন বড় অবদান।

শান্তর পাশাপাশি তড়িঘড়ি সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিদ হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ব্যাটিংয়ের শুরুতেই লড়াই থেকে ছিটকে যান তারা, 'আমি মনে করি, প্রথম পাওয়ার প্লেতে আমরা যেভাবে ব্যাট করেছি, ৫ উইকেট পড়ে যায় আমাদের। সেখানেই আমরা ম্যাচটা হেরে গেছি। হৃদয় ও জাকের পরে অসাধারণ ব্যাটিং করেছে।'

ভারতের শ্রেয়াস আইয়ারকে রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। তখনও রানের খাতা খোলেননি তিনি। সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙতে পারেননি শান্ত। তারপর তাসকিন আহমেদের বলে লোকেশ রাহুলের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন জাকের। সেসময় ৯ রানে থাকা লোকেশ আরও একবার বেঁচে যান রানআউট থেকে। শেষমেশ তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৪১ রানে। ছক্কা মেরে শেষ করে দেন খেলা।

ফিল্ডিংয়ে সুযোগ নষ্ট করা নিয়ে শান্তর কণ্ঠে শোনা যায় আক্ষেপ, 'ফিল্ডিংয়ে আমরা বেশ কিছু ভুল করেছি। আমরা ক্যাচ ফেলেছি, কয়েকটি রানআউট মিস করেছি। এমনটা না ঘটলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত।'

ভারতের একাদশে ছিলেন তিন স্পিনার অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা। কেবল অক্ষর উইকেট পেলেও তিনজনই রান দেওয়ায় দেখান কৃপণতা। অন্যদিকে, বাংলাদেশ খেলায় দুই স্পিনার মিরাজ ও রিশাদ হোসেনকে। তারা আঁটসাঁট থাকলেও ভুগতে হয় পেস বিভাগকে। তাসকিন ভালো করলেও খরুচে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব। বাংলাদেশের পেসারদের বিপরীতে পাওয়ার প্লেতে ৬৯ রান তুলে জয়ের ভিত পেয়ে যায় ভারত।

ফিল্ডিংয়ের মতো বোলিং নিয়েও একই সুরে কথা বলেন বাংলাদেশের দলনেতা, 'আমার মনে হয় না যে অতিরিক্ত একজন স্পিনার রাখা দরকার ছিল একাদশে। আমাদের পেসাররাও খারাপ বোলিং করেনি। নতুন বলে যদি উইকেট তুলে নিতে পারতাম আমরা, তাহলে ফল অন্যরকম হতে পারত।'

নানা নেতিবাচক দিকের বাইরে ইতিবাচক ব্যাপার ছিল হৃদয় ও জাকেরের ব্যাটিং। হৃদয় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে করেন ১১৮ বলে ঠিক ১০০ রান। জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ১১৪ বলে ৬৮ রান। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের জুটি ছিল ২০৬ বলে ১৫৪ রানের। ভারতের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

দুই তরুণ ব্যাটারের প্রশংসা করার পাশাপাশি তাদের কাছে ভবিষ্যতের প্রত্যাশা জানান শান্ত, 'হৃদয় ও জাকের ভারতের স্পিনারদের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছে। আমি আশা করি, তারা এভাবে খেলা চালিয়ে যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Police, Bida launch special security measures for foreign investors

Held meeting with officials of foreign companies, introduced dedicated emergency contact line

1h ago