চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

ফাইনালের একাদশে বদল দেখছেন শাস্ত্রী

Ravi Shastri

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার স্পিনার নিয়ে নেমে গিয়েছিলো ভারত। যদিও তাদের দুই স্পিনার আবার ব্যাটার হওয়াতে একাদশের ভারসাম্য নষ্ট হয়নি। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াও খেলিয়েছিল বাড়তি স্পিনার। তবে ম্যাচের দিন মনে হয়েছে দুই দল আসলে উইকেট পড়তে কিছুটা ভুল করেছে। আরেকজন পেসারের ঘাটতি টের পাওয়া গেছে নানান ধাপে। ফাইনালের উইকেটেও বেশ স্পোর্টিং দেখছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী। তার মতে উইকেট যদি আগের দিনের মতন হয় একাদশে বদল আনবে দুই দল।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বেশ কিছু দিন ধরে চলছে টানা খেলা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে হয়েছে আইএল টি-টোয়েন্টি। ব্যবহৃত উইকেটে তাই স্পিন একটা ফ্যাক্টর। তবে সেমিফাইনালে দেখা গেছে উইকেটে আছে রান, চাইলে তিনশো ছাড়িয়ে যাওয়া যেত। অস্ট্রেলিয়া ২৬৪ করে ভারতের সঙ্গে লড়াই জমাতে পারেনি।

জানা গেছে ফাইনাল হবে কম ব্যবহৃত আরেক উইকেটে। ফাইনালের আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম থাকায় উইকেট থেকে ব্যাটাররাও সুবিধা পেতে পারেন। আর এই কারণেই একাদশে বদল দেখছেন শাস্ত্রী, 'উইকেটের কারণে দুই দলের একাদশেই বদল দেখলে আমি অবাক হবো না। কারণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পিচ ছিলো টুর্নামেন্টের সেরা।'

'মাঠকর্মীরা ফাইনালের আগে পাঁচ দিন পাচ্ছেন উইকেট তৈরি করার। এটা যদি গত ম্যাচের মতন ২৮০-৩০০ রানের উইকেট হয় আপনি সেটা (একাদশে বদল) ভাবতেই পারেন।'

গত দুই ম্যাচে বিশেষজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামির পাশাপাশি পেস অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে খেলায় ভারত। দলের বাকি চার বোলার ছিলেন স্পিনার। অক্ষর, জাদেজার সঙ্গে ছিলেন দুই রিষ্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব ও বরুন চক্রবর্তী। বাড়তি পেসার খেলাতে হলে তাদের একজনকে বাদ দিতে হবে।

এদিকে ফাইনালে সম্ভাব্য ম্যাচ সেরা নিয়েও প্রেডিকশন দিয়েছেন শাস্ত্রী। দুই দলের দিক থেকে তিন ক্রিকেটারের নাম নিয়েছেন তিনি,  'আমি অক্ষর প্যাটেল বা রবীন্দ্র জাদেজার কথা বলব ভারতের দিক থেকে। নিউজিল্যান্ডের দিক থেকে গ্লেন ফিলিপস তেমন কিছু করতে পারেন। সে দুর্দান্ত ফিল্ডিংও করে দিচ্ছে। ক্রিজে এসে সে আগ্রাসী খেলে দ্রুত ৪০, ৫০ রান করে দেয়। এবং বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ এক-দুই উইকেট নিতে পারে।'

রোববার বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটায় শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka gridlocked as BNP, Jamaat political rallies bring city to a halt

Traffic congestion had spread to various parts of the city, Mirpur and Uttara experienced comparatively less disruption

43m ago