আফগানদের ঐতিহাসিক দিনে রিকেলটনের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের বড় পুঁজি

ছবি: এএফপি

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের অভিষেক ম্যাচটি নিজের জন্য স্মরণীয় করে রাখলেন রায়ান রিকেলটন। প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটা পেয়ে গেলেন একেবারে আইসিসি ইভেন্টে। বাঁহাতি এই ওপেনারের ১০৩ রানের ইনিংসে বড় স্কোরের ভিত্তি পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর আরও তিন ব্যাটারের ফিফটিতে দলটি গড়ল ৬ উইকেটে ৩১৫ রানের পুঁজি।

শুক্রবার করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ৭ চার ও ১ ছক্কায় রিকেলটন থেমেছেন ১০৬ বলে ১০৩ রান করে। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ৭৬ বলে ৫৮ রান করে রেখেছেন অবদান। রাসি ফন ডার ডুসেন খেলেছেন ৪৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস। শেষদিকে ৩৬ বলে সমান রান করে অপরাজিত থেকেছেন এইডেন মার্করাম। ৫১ রানে ২ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের সেরা বোলার মোহাম্মদ নবি। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও নূর আহমেদ।

'বি' গ্রুপের ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ের চাওয়া ছিল দুই দলেরই। আফগানদের ঐতিহাসিক দিনে টসের ভাগ্য যায় দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে। দুই ওপেনার সাবলীল শুরু করলেও আলগা শটে টনি ডি জর্জি তার ইনিংসটিকে ১১ রানের বড় করতে পারেননি। এদিন নিজের প্রথম বলেই উইকেটের উল্লাসে মেতে উঠেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার নবি। তার বলে মিডঅনে সহজ ক্যাচ দিয়ে জর্জি ফেরার পর নামেন বাভুমা।

প্রোটিয়া অধিনায়ক ধীরলয়ে খেলতে থাকেন। অপরপ্রান্তে থাকা রিকেলটনের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে দলটি। বাঁহাতি এই ব্যাটার ৪৮ বলে পেয়ে যান তার ফিফটি। ২০তম ওভারে শতরান পূর্ণ করে তার দল। ফিফটি পেতে ৬৩ বল লেগে যায় বাভুমার। ১৩৬ রান তুলতে ইনিংসের অর্ধেক পথ পার করে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষমেশ নবি এসে ১২৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভেঙে দেন। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন বাভুমা।

রিকেলটন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ান আফগানিস্তানের জন্য। ৩৫তম ওভারে সেঞ্চুরি পেয়ে যান তিনি ১০১ বলে। পরের ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় রান দুইশ ছাড়িয়ে যায়। ওই ওভারেই রানআউটের কবলে পড়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় রিকেলটনকে। রশিদ খানের বল আগবাড়িয়ে তিনি খেলেন বোলারের দিকে, আফগান লেগ স্পিনার সেটি ধরেই মেরে দেন থ্রো। রিকেলটনের ব্যাট ক্রিজের ভেতরে থাকলেও তা মাটিতে স্পর্শ করার আগেই স্টাম্প ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক রহমানউল্লাহ গুরবাজ।

চারে নামা ডুসেন এরপর চালিয়ে খেলে ৪১ বলে ফিফটি করেন। ডানহাতি এই ব্যাটার ৩ চার ও ২ ছক্কা মেরে থামেন। পাঁচে নামা মার্করাম ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৩ বলে পান ফিফটি। তিনি মারেন ৬ চার ও ১ ছক্কা। তার কল্যাণে শেষ ১০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা আনতে পারে ৮৫ রান। তিনশ ছাড়িয়ে তারা যায় আরও কিছুদূর। রশিদ ১০ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

Ishraque alleges political obstruction in DSCC mayoral appointment

Announces establishment of 'Mayor's Cell' to monitor service delivery in the city

55m ago