আদিবাসীদের ওপর হামলা: নারায়ণগঞ্জ থেকে ‘অন্যতম আসামি’ গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার সাঈদ ফজলুল করিম স্বপন (বামে)। হামলার সময়ের সংগৃহীত ছবি (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ের সামনে আদিবাসীদের ওপর হামলার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তার নাম সাঈদ ফজলুল করিম স্বপন (৪২)। এই হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি তিনি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, মতিঝিল থানা পুলিশের একটি দল আজ শনিবার ভোররাত আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এ নিয়ে এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তকালে সংঘর্ষের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও সংগৃহীত বিভিন্ন ভিডিও পর্যালোচনায় রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যার (২৪) ওপর হামলাকারী সাঈদ ফজলুল করিম স্বপনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় স্বপনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মতিঝিল থানা পুলিশের একটি দল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন পূর্ব শিয়াচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

স্বপনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

পাঠ্যপুস্তকে 'আদিবাসী' শব্দসংবলিত গ্রাফিতি অপসারণের প্রতিবাদ জানাতে গত ১৫ জানুয়ারি আদিবাসী শিক্ষার্থীরা মতিঝিলে এনসিটিবি ভবনের সামনে যায়। সেখানে 'স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি'র ব্যানারে একদল লোক আগে থেকেই অবস্থান নেয় এবং পরে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা সেখানে পৌঁছালে হামলা চালায়। এতে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

পরদিন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জগদীশ চাকমা বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।

এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কৃত সদস্য শাহাদাত ফরাজী সাকিবকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ১৫ জানুয়ারি রাতে আরিফ আল খাবির (৩৮) ও মো. আব্বাস (২৪) নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২৯ জানুয়ারি হাবিবুর রহমান নামে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

7h ago