ইব্রাহিমের ইতিহাস গড়া ইনিংসে রেকর্ড পুঁজি আফগানিস্তানের

ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরান। এবার আফগানরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও প্রথম সেঞ্চুরিটা পেল তার ব্যাট থেকে। ১৭৭ রানের ইনিংসে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন। সঙ্গে দুটি রেকর্ড গড়লেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
১৪৬ বলের ইনিংসে ১২ চারের সঙ্গে ৬ ছক্কা মেরেছেন ইব্রাহিম। এটি ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ১৬৫ রান করা বেন ডাকেটকে ছাড়িয়ে এই রেকর্ডের মালিক বনে গেছেন ইব্রাহিম।
বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইনিংসের প্রথম অর্ধে ১০৩ রান আনতে পারে আফগানিস্তান। পরের ২৫ ওভারে ২২২ রান এনে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা গড়েছে ৩২৫ রানের স্কোর। যা আইসিসির ওয়ানডে ইভেন্টে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোর।
নিজের প্রথম স্পেলে ৬ ওভারে ২২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন জোফরা আর্চার। শেষমেশ নিজের বোলিং তিনি ৬৪ রানে শেষ করেছেন। বাকি চার উইকেটের দুটি ঢুকেছে লিয়াম লিভিংস্টোনের ঝুলিতে, একটি করে উইকেট পেয়েছেন আদিল রশিদ ও জেমি ওভারটম।
এদিন টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে মনের মতো শুরু হয়নি আফগানিস্তানের। পঞ্চম ওভারে দুটি উইকেট হারিয়ে তারা পড়ে যায় বিপদে। আর্চারের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে ১৫ বলে ৬ রানে ফিরেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তিনে নামা সেদিকউল্লাহ অটল এক চার মেরে বিদায় নেন এলবিডব্লিউ হয়ে। ২ রানে ইব্রাহিমকে ফেরানোর সুযোগ পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। থার্ডম্যানে আর্চার বলের নাগালেই চলে যান, কিন্তু ক্যাচ নিতে কোনো ডাইভ দেননি তিনি।
৪ রানে রহমত শাহ প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে ৩৭ রানেই অবশ্য তিন উইকেট চলে যায় আফগানদের। এরপর ধীরলয়ে এগিয়ে চলে তাদের ইনিংস। শতরান পেতে লেগে যায় ২৪.২ ওভার। বেশ সতর্কতার সঙ্গে শুরু করা হাসমতউল্লাহ শহিদি শেষমেশ ফিরে যান ৬৭ বলে ৪০ রান করে। আফগানিস্তানের অধিনায়ক তার ইনিংসে মারেন মাত্র ৩টি চার।
৬৫ বলে ফিফটি করে জাদরান চড়াও হন ইংলিশ বোলারদের উপর। ফিফটির পরের ১৭ বলে আনেন ৩১ রান। শহিদি আউট হওয়ার পর অবশ্য আবার কিছুটা খোলসে ঢুকে পড়েন। কিন্তু ছয়ে নামা আজমতউল্লাহ জাদরান এসে আগ্রাসনের দায়িত্ব সামলান। ৩১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ইনিংসটিকে যদিও ৪১ রানের বড় করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। একপ্রান্ত আগলে রেখে জাদরান তার শতক পেয়ে যান ১০৬ বলে। ৩৭.২ ওভারে দুইশ রান করে ফেলে আফগানিস্তান।
মোহাম্মদ নবি এসে ইব্রাহিমকে শেষের ঝড় তুলতে সাহায্য করেন ২৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪০ রান করে। ইব্রাহিমের ইনিংস দেড়শ ছুঁয়ে ফেলে ১৩৪ বলে। পাওয়ারের সঙ্গে কব্জির কারুকাজ দেখিয়ে ইংল্যান্ডকে এলোমেলো করে দেন তিনি। শেষমেশ ৫০তম ওভারে তার ম্যারাথন ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে যায়। সকলের অভিবাদন নিয়ে বীরের বেশে মাঠ ছাড়েন তিনি।
Comments