অটল-আজমতউল্লাহর ব্যাটে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি

ছবি: এএফপি

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে আফগানিস্তানের জন্য জয়ের কোনো বিকল্প নেই। সেমিফাইনালে ওঠার আশা সঙ্গী করে দুটি হাফসেঞ্চুরি আর দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটিতে তারা পেল লড়াকু পুঁজি। তিনে নামা সেদিকউল্লাহ অটল শুরুতে দলকে টেনে করলেন ৮৫ রান। দুইশর নিচে সপ্তম উইকেটের পতন পরে আফগানদের এগিয়ে নিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তিনি ৬৭ রানের ইনিংস খেলে সতীর্থ বোলারদের দিলেন লড়াইয়ের রসদ।

শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে 'বি' গ্রুপের ম্যাচে পুরো ওভার খেলে ২৭৩ রানে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান। অটল ৯৫ বলের ইনিংসে মারেন ৬ চার ও ৩ ছক্কা। ৬৩ বলে ৫ ছক্কার সঙ্গে ১ চার মেরে থামেন ওমরজাই। আফগানিস্তানের আর কোনো ব্যাটার ত্রিশোর্ধ্ব রান করতে পারেননি। অতিরিক্তের সুবাদে তারা পেয়েছে ৩৭ রান।

৯ ওভারে ৪৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বল হাতে অজিদের সেরা পারফর্মার পেসার বেন ডোয়ারশিস। দুটি করে উইকেট পান আরেক পেসার স্পেন্সার জনসন ও লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ন্যাথান এলিসের ঝুলিতে ঢোকে একটি করে উইকেট।

এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনের মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান। মেঘলা আকাশ ও ফ্লাডলাইটের নিচে মুভমেন্ট পান অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা। প্রথম ওভারেই ইনসুইং ইয়র্কারে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ০ রানে বোল্ড করেন জনসন। স্বস্তিতে না থাকলেও আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রানে পাওয়ারপ্লে শেষ করে আফগানরা। মাঝেমধ্যে সুইং নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে ওয়াইড দেয় অজিরা। অতিরিক্ত খাতেই প্রথম ১০ ওভারে আফগানিস্তান পেয়ে যায় ১৭ রান।

কঠিন সময় কাটিয়ে ওঠা ইব্রাহিম জাদরান এরপর তার উইকেট স্রেফ বিলিয়েই দেন। জ্যাম্পার বেশ বাইরের বল তাড়া করে পয়েন্টে অনায়াস ক্যাচ দেন তিনি। ২৮ বলে ২ চারে ইব্রাহিম ফেরেন ২২ রান করে। এরপর রহমত শাহ এসে ২১ বলে ১২ রানে আউট হয়ে যান। ৯১ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানরা।

অটল একপ্রান্তে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে ফিফটি পূর্ণ করেন ৬৪ বলে। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি অবশ্য অন্যপ্রান্তে খোলসে আটকে যান। তার মন্থর ব্যাটিং পুষিয়ে দিতে অটল আগ্রাসী মনোভাবে খেলতে থাকেন। বাঁহাতি এই ব্যাটারকে ৭৪ রানে ফিরতে হতো প্যাভিলিয়নে। তবে এলিসের বলে এলবিডব্লিউ হয়েও বেঁচে যান অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নেয়নি বলে।

কিছুক্ষণ পরই অবশ্য জনসনের বলে কভারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেন অটল। ১৫৯ রানে চতুর্থ উইকেট তখন হারায় আফগানিস্তান। শহিদির ভোগান্তিময় ইনিংসের শেষ হয় ৪৯ বলে ২০ রানে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোহাম্মদ নবি রানআউট হয়ে ফিরে যান মাত্র ১ রানে। জশ ইংলিসের হাত থেকে বল ফসকে গেলে রান নিতে বের হন নবি। তিনি ক্রিজে ফেরার আগেই অজি উইকেটরক্ষকের থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দেন বোলার জনসন।

এক অঙ্কে গুলবদিন নাইবও আউট হয়ে গেলে ১৯৯ রানেই ৭ উইকেট চলে যায় আফগানিস্তানের। এলিসের বলে পুল করতে গিয়ে ডানহাতি এই ব্যাটার ক্যাচ দেন কিপারের হাতে। এরপর ওমরজাই ব্যাট হাতে আলো ছড়ান। প্রথমে রশিদ খানের সঙ্গে ৩৩ বলে ৩৬ ও পরে নুর আহমেদের সঙ্গে ২৫ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন তিনি।

১৯ বলে ২ চারে ১৭ রানের ক্যামিও খেলে আউট হন রশিদ। একা ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ওমরজাই। তিনি নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন ৫৪ বলে। শেষমেশ ডোয়ারশিসের বলে ডিপ কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৫০তম ওভারের চতুর্থ বলে। ইনিংসের শেষ বলে নুর উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে অলআউট হয় আফগানরা।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

3h ago