ওপেনিংয়ের যে দুর্গতি নিউজিল্যান্ডকে রাখছে কানাডা ও জার্সির পাশে

চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওপেনারদের থেকে সবচেয়ে বেশি রান পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। একমাত্র কিউই ওপেনাররা মিলে দলকে তিনশর বেশি (৩০৪) রান এনে দিয়েছেন। তবে ওপেনিংয়ের এক দুর্গতি তাদের বসিয়ে দিচ্ছে তুলনামূলক দুর্বল কানাডা ও জার্সির পাশে। ওয়ানডেতে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ওপেনিং জুটিতে শতরান পাচ্ছে না তাসমান সাগর পাড়ের দেশটি।
সবশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি একশ রানের চেয়ে বড় হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস মিলে ১০৬ রানের জুটি গড়েছিলেন। এরপর ৬৫ ইনিংস পেরিয়ে গেছে, কিউইদের প্রথম উইকেট পড়ার আগে স্কোরবোর্ডে তিন অঙ্কের রান ওঠেনি।
ওয়ানডেতে এই সময়ে পূর্ণ সদস্য সবকটি দেশ শতরানের উদ্বোধনী জুটি পেয়েছে। এই সংস্করণে খেলা শুধুমাত্র দুটি দেশ একবারও প্রথম উইকেট পার্টনারশিপে শতরান পায়নি। এর মধ্যে কানাডা খেলেছে ২০ ইনিংস। ক্রিকেট দুনিয়ায় ভীষণ অপরিচিত দল জার্সির ওপেনাররা ব্যাট করেছেন মাত্র পাঁচবার।
নিউজিল্যান্ডকে শেষবার ওপেনিংয়ে শতরানের জুটি এনে দেওয়া গাপটিল ও নিকোলস সেই কবেই দৃশ্যপটের বাইরে চলে গেছেন। এরপর কিউইদের জার্সিতে খেলেছেন ৯ জন ওপেনার। এই সময়ে ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন ওপেনিং জুটির দেখা মিলেছে। কিন্তু তিন অঙ্কের জুটি না পাওয়ার সেই দুর্গতি ফুরোয়নি আর!
চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এসেও এখনও বড় শুরু পায়নি নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তাদের ৪৮ রানের জুটিই ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ। চলতি আসরের বাকি তিন ম্যাচে প্রথম উইকেট জুটিতে রান এসেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৯, ভারতের বিপরীতে ১৭ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ০।
প্রতিযোগিতার নবম আসরের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড এবার তিনজন ওপেনারকে খেলিয়েছে। রাচিন রবীন্দ্র চোটে পড়ে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারেননি। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে তিনি আছেন একপাশে। বাদ পড়েছেন ডেভন কনওয়ে। অন্যপাশে শুরু থেকেই আছেন উইল ইয়াং।
ওপেনিং পার্টনারশিপ থেকে এখনও শতরান না পেলেও ওপেনাররাই নিউজিল্যান্ডকে মূলত এগিয়ে দিয়েছেন। চলতি আসরে তাদের চারজন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের মধ্যে দুজন হচ্ছেন ওপেনার। ৩ ম্যাচে ২২৬ রান নিয়ে অবশ্য টুর্নামেন্টেরই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন রাচিন। আরেক ওপেনার ইয়াংয়ের কাছ থেকে ৪ ম্যাচে ১৫০ রান পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
তবুও ওপেনিংয়ের যে দুর্গতি কানাডা ও জার্সির পাশে রাখছে কিউইদের, সেটির শেষ নিশ্চয়ই দেখতে চাইবে তারা। আর তা যদি হয় আগামীকাল রোববার দুবাইতে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে, তবে তো মিচেল স্যান্টনারের দলের জন্য একেবারে সোনায় সোহাগা!
Comments