ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রানবন্যায় মাসসেরা হয়ে গিলের রেকর্ড

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সিরিজে শুবমান গিল ব্যাট হাতে ছিলেন দুর্ধর্ষ। সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক। সেই স্মরণীয় পারফরম্যান্সের সুবাদে তার অর্জনের মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। পুরুষ ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার মাসসেরা হওয়ার রেকর্ড গড়লেন ডানহাতি ব্যাটার।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত জুলাই মাসের সেরা ক্রিকেটারদের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ চারবার 'আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ' হলেন গিল। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও সেপ্টেম্বর এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের সেরার সম্মাননা পেয়েছিলেন তিনি। নারী বিভাগে মাসসেরার পুরস্কার গেছে ইংল্যান্ডের সোফি ডাঙ্কলির ঝুলিতে।
গিলের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভিয়ান মুল্ডার। তবে ২৫ বছর বয়সী তারকার সঙ্গে পেরে ওঠেননি তারা। ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে গিল ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। অনেকগুলো রেকর্ড গড়ে ১০ ইনিংসে ৭৫.৪০ গড়ে তিনি করেন ৭৫৪ রান। অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে হাঁকান চারটি সেঞ্চুরি।
ওই সিরিজ দিয়েই ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা হয়েছে গিলের। আর শুরুতেই বাজিমাত করেছেন তিনি। সিরিজে তার করা ৭৫৪ রানের মধ্যে ৫৬৭ রানই আসে জুলাই মাসে তিনটি টেস্ট খেলে। ছয় ইনিংসে ক্রিজে গিয়ে একটি ডাবল সেঞ্চুরি ও দুটি সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি।
এজবাস্টন টেস্টে সামর্থ্যের সেরাটা দেখিয়ে জোড়া শতক পান গিল। প্রথম ইনিংসে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ক্যারিয়ারসেরা ২৬৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৬১ রান। লর্ডসে সুবিধা করতে পারেননি যদিও। আউট হয়ে যান যথাক্রমে ১৬ ও ৬ রানে। তারপর ম্যানচেস্টার টেস্ট দিয়ে আবার রানে ফেরেন গিল। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে বিদায় নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ১০৩ রান।
সম্মাননা পেয়ে ভীষণ আনন্দিত গিল বলেছেন, 'এই পুরস্কারের জন্য আমাকে নির্বাচন করায় বিচারকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার সতীর্থদেরও, যারা এই রোমাঞ্চকর সিরিজে আমার সঙ্গে ছিলেন। আমি আসন্ন মৌসুমে এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশের জন্য আরও সম্মান নিয়ে আসতে চাই।'
Comments