সামিটের আজিজ খান ও পরিবারের ১৯১ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ

সামিটের আজিজ খান এখন সিঙ্গাপুরের ৪১তম শীর্ষ ধনী: ফোর্বস
মুহাম্মদ আজিজ খান। ছবি: ফোর্বসের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

দুর্নীতির অভিযোগে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান ও তার পরিবারের ১৯১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।

আজিজ খান গোপালগঞ্জ-১ আসনের সাবেক আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খানের ভাই।

আদালত যে ১৯১টি অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে জমা রয়েছে ৪১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আদালতে দুদকের পক্ষে আবেদন উপস্থাপন করেন।

আদালতে দাখিল করা আবেদনে দুদক উল্লেখ করেছে, সামিট গ্রুপ এবং তাদের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তে দেখা গেছে, আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা অ্যাকাউন্টগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক।

দুদক আরও জানায়, এই অর্থ যেকোনো সময় তুলে ফেলা বা বিদেশে পাচারের আশঙ্কা রয়েছে। তাই, অর্থপাচার বা লুকানোর সম্ভাবনা রোধে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আদালতে দুদকের পক্ষে আবেদন উপস্থাপন করেন।

আদালতে দাখিল করা আবেদনে দুদক উল্লেখ করেছে, সামিট গ্রুপ এবং তাদের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তে দেখা গেছে, আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা অ্যাকাউন্টগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক।

দুদক আরও জানায়, এই অর্থ যেকোনো সময় তুলে ফেলা বা বিদেশে পাচারের আশঙ্কা রয়েছে। তাই, অর্থপাচার বা লুকানোর সম্ভাবনা রোধে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করে এবং গত বছরের ৭ অক্টোবর ব্যাংকগুলোকে আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।

বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আজিজ খান সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ব্যবসায়ীর একজন হিসেবে পরিচিত।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

11h ago