লুক্সেমবার্গে আজিজ খানের ৪১ লাখ ইউরো জব্দের নির্দেশ

আজিজ
মুহাম্মদ আজিজ খান। ছবি: সংগৃহীত

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান ও পরিবারের সদস্যদের নামে লুক্সেমবার্গে বিনিয়োগ করা ৪১ লাখ ১৫ হাজার ৪১২ দশমিক ৪৫ ইউরো জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

সামিট গ্রুপ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে একটি তদন্ত পরিচালনা করছে দুদক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক আলমগীর হোসেন আদালতে আবেদন করে বলেন, তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আজিজ খান ও তার সহযোগীদের (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান) নামে লুক্সেমবার্গে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে।

সূত্রের বরাতে আবেদনে বলা হয়, লুক্সেমবার্গের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ইতোমধ্যে তিন মাসের জন্য আজিজ খানের ওই বিনিয়োগ সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ করেছে। তবে এই সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক অনুরোধ (লেটার রগেটরি বা মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স) পাঠানো না হলে অবরুদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হয়ে যেতে পারে।

লুক্সেমবার্গ আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা পেশাজীবী চাইলে ডিস্ট্রিক্ট আদালতের চেম্বারে অবরুদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারেন।

আজিজ খানের মালিকানাধীন সিঙ্গাপুরভিত্তিক সেরিন কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ওই অর্থ ডিএলই ল্যান্ডব্যাংকিং ফান্ড, এস.এ. সিকাভরাইফ, বার্লিনে স্থানান্তর করা হয়, যার উৎস ছিল ভিপি ফান্ড সলিউশনস, লুক্সেমবার্গ।

আদালত অবরুদ্ধের আদেশের একটি অনুলিপি লুক্সেমবার্গের স্টেট প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিসে পাঠানোর নির্দেশ দেন, যেন তারা অবিলম্বে সেখানে আজিজ খানের অস্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়।

এর আগে গত ৯ মার্চ একই আদালত আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১৯১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট দেশের বিভিন্ন ব্যাংককে আজিজ খান ও তার পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ব্যবসায়ীর একজন হিসেবে পরিচিত।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-ACC chairman, 3 others sued over 'false cases' against Khaleda, Tarique

Lawsuit alleges Hasan Mashhud filed fabricated cases to harass the BNP leaders

16m ago