নারায়ণগঞ্জে ‘তর্কের জেরে’ ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মী নিহত

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় ছুরিকাঘাতে ছাত্রদলের এক কর্মী মারা গেছেন। 'তর্কের জেরে' এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার রাতে সোয়া ১০টার দিকে শহীদ মিনারের পাশে ভাষা সৈনিক সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাসির আহমদ।

নিহত মো. অপূর্ব (২৫) নগরীর মাসদাইর এলাকার মোহাম্মদ খোকনের ছেলে। অপূর্ব পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক ছিলেন৷ তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে।

মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেন, মাসদাইর এলাকা থেকে ধর্ষণবিরোধী মিছিল বের করেন তারা। মিছিল শেষ হবার কিছুক্ষণ পরেই এ ঘটনা ঘটে৷ নিহত অপূর্ব ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী বলেও দাবি করেন তিনি।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সম্রাট হোসেন নামে এক যুবককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

আজ সকালে নিহতের বাবা খোকন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে জানান ওসি নাসির আহমদ।

অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সম্রাট ভাষা সৈনিক সড়কের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন৷ রাতে সারাদেশে সংঘটিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ছাত্রদলের একটি মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি ওই সড়ক দিয়ে শেষ হবার সময় পেছন থেকে আপত্তিকর মন্তব্য করেন অভিযুক্ত সম্রাট৷ এ নিয়ে নিহত অপূর্ব ও তার সহকর্মীরা সম্রাটের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে অভিযুক্ত সম্রাট তার কাছে থাকা একটি ছুরি দিয়ে অপূর্বের বুকে আঘাত করেন।

ঘটনার পর ছাত্রদলের অপর কর্মীরা সম্রাট ও তার সাথে থাকা আরেক ব্যক্তিকে মারধর করেন৷ সম্রাটের সাথে থাকা অপর ব্যক্তি দৌঁড়ে পালালেও সম্রাটকে পরে পুলিশে দেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাসপাতালের সামনে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা৷ তারা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার দাবি করেন।

সদর থানার ওসি নাসির আহমদ বলেন, আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর মধ্যে তর্ক হয়। ওই তর্কের জেরে হাতাহাতির পর ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে৷ পরে আহতকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia returns home from London

Tarique's wife Zubaida Rahman and his late brother Arafat Rahman Koko's wife Syeda Sharmila Rahman accompanied her

50m ago