যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, দুই শতাধিক নিহত

ইসরায়েলের হামলার পর দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিয়সে নাসের হাসপাতালের চিত্র। ছবি: রয়টার্স

গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অন্তত ২০০ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজাজুড়ে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার কথা জানায়। এর মধ্যদিয়ে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি শেষ করল ইসরায়েল।

উত্তর গাজা, গাজা সিটি এবং মধ্য ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস ও রাফাহসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার খবর পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে এবং প্রয়োজনে বিমান হামলার বাইরেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গত ১৯ জানুয়ারি সম্মত হওয়া যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাপক হামলা চালাল ইসরায়েল। এর আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বিক্ষিপ্তভাবে ড্রোন হামলা চালালেও এবারের ব্যাপক পরিসরে হামলা শুরু করেছে।

হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করেছে, যার ফলে গাজায় এখনো বন্দি থাকা ৫৯ জন জিম্মির ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে জিম্মিদের মুক্তি দিতে বারবার অস্বীকৃতি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ইসরায়েল এখন থেকে ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি দিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।'

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েল এই হামলা চালানোর আগে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের হামলায় হামাসের মধ্যম স্তরের কমান্ডার, নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা এবং যোদ্ধাদের অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

8h ago