নাওয়াজের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে জিতে পাকিস্তানও গড়ল ইতিহাস

ছবি: পিসিবি

আগের দুটি টি-টোয়েন্টিতে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন হাসান নাওয়াজ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এমন বাজে শুরুর ধাক্কা সামলে কী দারুণভাবেই না ঘুরে দাঁড়ালেন তরুণ ওপেনার! তৃতীয় ম্যাচে এসে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের কচুকাটা করে পেলেন রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি। তার কাঁধে ভর করে অনায়াসে দুইশর বেশি রান তাড়া করে জিতে পাকিস্তানও গড়ল ইতিহাস।

শুক্রবার অকল্যান্ডে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে সফরকারীরা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ২০৪ রানের ভালো পুঁজি গড়ে অলআউট হয় কিউইরা। জবাবে স্রেফ ১ উইকেট হারিয়ে ২৪ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে সালমান আলী আগার দল।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুইশর বেশি রানের লক্ষ্য ১৬ ওভারের মধ্যে মিলিয়ে ম্যাচ জয়ের ঘটনা এটিই প্রথম। এমন সমীকরণ বিবেচনায় দ্রুততম জয়ের আগের কীর্তিটি দক্ষিণ আফ্রিকা গড়েছিল ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে। জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০৫ রান তাড়া করে দলটি জিতেছিল ১৭.৪ ওভারে।

অবধারিতভাবে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা নাওয়াজ ১০৫ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন। ৪৫ বল মোকাবিলায় তিনি অপরাজিত থাকেন ১০ চার ও ৭ ছক্কা মেরে। তিনি তিন অঙ্কে পৌঁছান ৪৪ বলে। পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। নাওয়াজ ছাড়িয়ে গেছেন বাবর আজমকে। ২০২১ সালে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাবর।

পাকিস্তানের জয়ে ব্যাট হাতে মোহাম্মদ হারিস ও অধিনায়ক সালমানও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ২০ বলে ৪১ রান করেন হারিস। তার সঙ্গে নাওয়াজের বিস্ফোরক উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৫ বলে ৭৪ রান। জ্যাকব ডাফির শর্ট বলে উইকেটরক্ষক মিচেল হের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন তিনি।

নিউজিল্যান্ড অবশ্য ফেরার রাস্তা পায়নি। শক্ত ভিত কাজে লাগিয়ে কেবল তরতর করেই এগোয় সফরকারীরা। নাওয়াজ ও সালমানের অবিচ্ছিন্ন বিধ্বংসী জুটিতে আসে ৬১ বলে ১৩৩ রান। সালমান অপরাজিত থাকেন ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৩১ বলে ৫১ রানে। অন্যদিকে, ২৬ বলে ফিফটি ছুঁয়ে পরে স্মরণীয় সেঞ্চুরির স্বাদ নেন নাওয়াজ। কাইল জেমিসনের বলে চার মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছে পরের বলে আরেকটি চারে তিনি শেষ করে দেন ম্যাচ।

এর আগে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দুইশ ছাড়ায় মূলত মার্ক চ্যাপম্যান ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ব্যাটে। তিনে নামা চ্যাপম্যান অল্পের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন। তিনি খেলেন ৪৪ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ৯৪ রানের মারমুখী ইনিংস। সাতে নামা ব্রেসওয়েল ৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ বলে করেন ৩১ রান। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ৩ উইকেট নেন। দুটি করে শিকার ধরেন আব্বাস আফ্রিদি, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও আবরার আহমেদ।

ক্রাইস্টচার্চ ও ডানেডিনে প্রথম দুটিতে হেরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বেকায়দায় ছিল পাকিস্তান। এদিনের জয়ে তারা ফিরেছে লড়াইয়ে। দুই দলের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি আগামী রোববার মাউন্ট মঙ্গানুইতে।

Comments

The Daily Star  | English

Mirza Abbas accuses 'a party' of taking 'hadia' from Bashundhara, City Group, others

Mirza Abbas also BNP cannot be removed from public sentiment through "conspiracy"

51m ago