সাভারে ফুটপাতে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে পুলিশের ২ গাড়ি ভাঙচুর

ঢাকার সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বিভিন্ন অবস্থানে ফুটপাথ দখল করে গড়ে ওঠা সাত হাজারের বেশি দোকানপাটসহ অবৈধ অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।
আজ রোববার অভিযানের এক পর্যায়ে আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের দুইটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে ফেলে উত্তেজিত জনতা।
সকাল ১০ টার দিকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সাভারের হেমায়েতপুর এলাকা থেকে এই অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্য ছাড়াও জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানকালে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর এলাকা থেকে শুরু করে গেন্ডা, সাভার বাসস্ট্যান্ডসহ আশুলিয়ার পল্লিবিদ্যুৎ, বাইপাইল, ডিইপিজেড, বলিভদ্র এলাকা পর্যন্ত সড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অন্তত ৭ হাজারের অধিক অস্থায়ী দোকান-স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুবকর সরকার।
তিনি বলেন, পথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ও ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরপর কেউ আইন অমান্য করার চেষ্টা করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকায় বাঁধার মুখে পড়েন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় পুলিশের দুইটি গাড়ির কাঁচও ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বলিভদ্র এলাকায় অভিযান শুরুর পরপরই কয়েকজন ব্যক্তি বাধা দিলে দুইজনকে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ।
পরে হঠাৎ করে হকারসহ একদল লোক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের গাড়ির কাঁচ ভাংচুর করেন। পরে সেখান থেকে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা চলে যান।
যোগাযোগ করলে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, উচ্ছেদ অভিযান যেসব জায়গায় টার্গেট করা হয়েছে, সেসব জায়গায়ই করা হয়েছে। বলিভদ্র এলাকায় অভিযান শেষ হয়ে গিয়েছে, এমন সময় কয়েকজন এসে আমাদের পুলিশের দুটি গাড়িতে ইট পাটকেল ছুড়ে গ্লাস ভাঙচুর করেছে। তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের কেউ আহত হননি বলেও জানান তিনি।
Comments