দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানলে নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ, মৃত ১৮

দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানলে ঝলসে গেছে অসংখ্য বাড়ি। ছবি: ডয়চে ভেলে
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানলে ঝলসে গেছে অসংখ্য বাড়ি। ছবি: ডয়চে ভেলে

দাবানলে বিপর্যস্ত দক্ষিণ কোরিয়া। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু জানিয়েছেন, প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছে তার দেশ। মারা গেছেন ১৮ জন।

ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু জানিয়েছেন, যাবতীয় পূর্বাভাস, আগুন নেভানো নিয়ে যাবতীয় প্রত্যাশা ব্যর্থ হয়েছে। দাবানলকে ঘিরে সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিপর্যয়-সতর্কতা জারি করেছে।

দাবানল নিয়ে যা জানা গেছে

দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানলে ঝলসে গেছে পুরো একটি এলাকা। ছবি: ডয়চে ভেলে
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানলে ঝলসে গেছে পুরো একটি এলাকা। ছবি: ডয়চে ভেলে

বার্তাসংস্থা এএফপিকে সরকারি কর্মীরা জানিয়েছেন, দাবানলের ফলে ১৮ জন মারা গেছেন এবং ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। অপর ১৩ ব্যক্তি আহত হলেও বিপদমুক্ত আছেন।

শুক্রবার সিউলের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় ১২টিরও বেশি অবস্থানে দাবানল জ্বলতে শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে চলা খরা এবং অত্যন্ত শুষ্ক হাওয়ার ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দাবানল।

হান জানিয়েছেন, রাতভর ভয়ংকর দাবানল জ্বলেছে। এই ঘটনার জেরে অসংখ্য এলাকায় বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাস্তাও বন্ধ রাখা হয়।

আগুন নেভানোর জন্য হাজারো দমকলকর্মী সেখানে পাঠানো হয়। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি পাওয়া হাহয়ে ফোক ভিলেজ বিপদের মুখে পড়েছে।

হাজারো মানুষকে নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অনেককে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে গেছে।

জোরালো শুষ্ক হাওয়ার কারণে ড্রোন ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ

দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানল জলছে। ছবি: ডয়চে ভেলে
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানল জলছে। ছবি: ডয়চে ভেলে

অনেক মানুষ বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য সামান্য সময় পেয়েছেন। ৭৯ বছর বয়সী কোন সো-হান এএফপিকে বলেছেন, মনে হলো, পাহাড় থেকে আগুন সোজা এসে আমার বাড়ির উপর আছড়ে পড়লো। যাদের এই অভিজ্ঞতা হয়নি, তাদের বোঝাতে পারব না। আমি কোনোমতে অক্ষত অবস্থায় বের হয়ে আসতে সক্ষম হই।

সরকার জানিয়েছে, উদ্ধার করা মানুষদের থাকার ব্যবস্থা ও তাদের সাহায্য করাটা এখন প্রাধান্যের বিষয়।

অনেক মানুষকে অস্থায়ী ত্রাণকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তাদের জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বুধবার বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সরকার।

সাধারণত গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ কোরিয়া দাবানলের কবলে পড়ে। তবে এবার তা মারাত্মক আকার নিয়েছে।

এ জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

14h ago