নারী ফুটবলে বিদ্রোহের অবসান

Bangladesh women's football team

কোচ পিটার বাটলারের পদত্যাগের দাবিতে বিদ্রোহ করেছিলেন সাফজয়ী দেশের শীর্ষ ১৮ নারী ফুটবলার পরে। পরে তাদের ছাড়াই এগুতে থাকে জাতীয় দলের কার্যক্রম। তাদের বাদ দিয়ে চলার পণ করে ফেলেন বাটলার। তৈরি হয় গভীর অচলাবস্থা। অবশেষে দীর্ঘ ৬৮ দিন পর সেই সংকট কেটেছে। বাটলারের অধীনেই অনুশীলনে ফিরেছেন বিদ্রোহীরা।

মঙ্গলবার সকাল ৬টায় জিম সেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুশীলন। বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হালকা ড্রিল ও বিপ টেস্ট ছিলো আজ। এতে সিনিয়র ১৩জন সহ মোট ৩২ জন ফুটবলার অংশ নেন। ১৮ বিদ্রোহীর বাকি পাঁচজনের মধ্যে চারজন ঋতুপর্ণা চাকমা, মাতসুশিমা সুমাইয়া ও সাবিনা খাতুন বর্তমানে ভুটানে আছেন, তারা সেখানে পারো এফসির হয়ে লিগ খেলবেন। আর তাহুরা খাতুন খুলনার বাড়ি থেকে ছুটি কাটিয়ে আজ যোগ দেবেন ক্যাম্পে।

সকালে অনুশীলনে আসেন এতদিন না থাকা শিউলি আজিম, মোসাম্মাৎ সাগরিকা, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সানজিদা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন, মাসুরা পারভীন, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, কৃষ্ণা রানী, স্বর্ণা রানী মণ্ডল, সাথী বিশ্বাস ও নাসরিন আক্তার।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারিতেই অবশ্য বাফুফের নারী উইংস প্রধান মাহফুজা খাতুন কিরণ বলেছিলেন, শিগগিরই জাতীয় দলের ক্যাম্পে ফিরবেন সাবিনা খাতুনরা।

ইংলিশ কোচ বাটলারের সঙ্গে গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে থেকেই দ্বন্দ্ব তৈরি হয় সিনিয়র ফুটবলারের। এই কোচকে সাফের পর আরও দুই বছরের চুক্তিতে রেখে দেওয়া হলে বেঁকে বসেন সাবিনারা। তবে শেষ পর্যন্ত তাদেরই নমনীয় হতে হলো।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

8h ago