চীন-যুক্তরাষ্ট্র শুল্কযুদ্ধ

এবার মার্কিন পণ্যের ওপর নতুন করে ৫০ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা বেইজিংয়ের

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: সংগৃহীত

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধ চূড়ান্ত মাত্রায় চলছে। আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সব আমদানি পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। 

চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ৩৪ শতাংশ রেসিপ্রোকাল শুল্ক আরোপের জবাবে গত শুক্রবার মার্কিন পণ্যের ওপর সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করে চীন। 

সোমবার বেইজিংয়ের এই শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য একদিনের সময়সীমা বেঁধে দেন ট্রাম্প। বেইজিং এই হুমকিতে সারা না দেওয়ায় পরদিনই দেশটির রপ্তানি পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দেয় হোয়াইট হাউজ। 

এর জবাবও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিল বেইজিং।   

আজ বুধবার চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, মার্কিন আমদানির ওপর নতুন ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কার্যকর হওয়ার পর মার্কিন পণ্যের ওপর চীনের অতিরিক্ত শুল্কের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৮৪ শতাংশে। 

ট্রাম্প প্রশাসন জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরই নতুন করে মোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীনা পণ্যের ওপর। প্রথম মেয়াদের ট্রাম্প প্রশাসন ও বাইডেন প্রশাসনও বিভিন্ন চীনা পণ্যের ওপর বিভিন্ন মাত্রার শুল্ক আরোপ করেছে। 

এর আগে, গতকাল হোয়াইট হাউজ থেকে নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসার পর এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থকে উপেক্ষা করে শুল্কযুদ্ধ ও বাণিজ্যযুদ্ধের উপর জোর দিলে চীনও শেষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবে।' 

আজ নতুন শুল্ক আরোপের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধ নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করেছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া বেশ কিছু মার্কিন কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। 

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

7h ago