পঞ্চগড়ে ধরা পড়া সেই নীলগাই গেল ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকায় গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ার তিন দিন পর বিপন্নপ্রায় নীলগাইটিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার রাত ৮টার দিকে পঞ্চগড় বন বিভাগ কার্যালয় থেকে বনকর্মীরা নীলগাইটিকে একটি কাঠের খাঁচায় ভরে ট্রাকে করে কক্সবাজারের চকরিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন।

সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ বলেন, 'চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ থেকে আসা তিন সদস্যের একটি দলের কাছে স্ত্রী নীলগাইটিকে হস্তান্তর করেছি।'

এর আগে গত বুধবার ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে আসা এই নীলগাইটিকে গোয়ালপাড়া গ্রামে ফসলের খেতে ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাও প্রাণীটিকে ধাওয়া করতে শুরু করে। প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে জয়ধরভাঙ্গা গ্রামে নীলগাইটি স্থানীয় পাঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দিলে গ্রামবাসী নীলগাইটিকে ঘিরে ফেলে।

সে সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) স্থানীয় ক্যাম্পের সদস্যরা পৌঁছে নীলগাইটিকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকির হোসেন বন বিভাগকে অবহিত করেন।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা নীলগাইটিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সন্ধ্যায় প্রাণীটিকে সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়।

দুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল আলম জানান, 'আমাদের পশু চিকিৎসক নীলগাইটিকে পরীক্ষা করেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যে এটি সুস্থ রয়েছে, যদিও শরীরে হালকা কিছু আঁচড়ের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'নীলগাইটি যেন একটি স্বাভাবিক ও উপযুক্ত পরিবেশে থাকতে পারে, সে জন্য আমাদের সাফারি পার্কে নেওয়া হচ্ছে। গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে একটি পুরুষ নীলগাই এনে এর সঙ্গী হিসেবে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।'

বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায় অন্তত ছয়টি নীলগাই দেখা গেছে। তার মধ্যে চারটি জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও গ্রামবাসীদের ধাওয়া ও মারধরে দুটি প্রাণ হারিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Israel stands down alert after Iran missile launch

Israel hits nuclear sites, Iran strikes hospital as conflict escalates

22h ago