নববর্ষের সন্ধ্যায় সংসদের আকাশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মহাকাব্য

আজ সোমবার বাংলা নববর্ষের প্রথম সন্ধ্যায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন মহাকাব্য হয়ে ধরা দিলো জাতীয় সংসদ ভবনের আকাশে।

জুলাইয়ের শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মীর মুগ্ধরা যেন আবার ফিরে এলেন, স্মরণ করিয়ে দিলেন তাদের বীরত্বগাঁথা।

দুই হাজার ৬০০ ড্রোনের মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনীতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। আর তা প্রত্যক্ষ করেন রাজধানীবাসী।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, ঢাকার চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহায়তায় শিল্পকলা একাডেমি এই ড্রোন শো আয়োজন করে।

একইসঙ্গে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজন করা হয় মনোমুগ্ধকর কনসার্টের।

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

সন্ধ্যায় কনসার্ট শুরু হয় বান্দরবানের বেসিক গিটার লার্নিং স্কুলের পরিবেশনার মাধ্যমে। এরপর এফ মাইনর ব্যান্ড তাদের গান পরিবেশন করে। অংশগ্রহণকারী সব শিল্পী সমবেতভাবে 'এসো হে বৈশাখ' পরিবেশন করেন।
এরপর মিঠুন চক্র, লোকশিল্পী ইসলামউদ্দিন পালকার, রাকিব ও সাগর দেওয়ান দ্বৈত সঙ্গীত, আরজ আলী সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

পরে আতিয়া আনিশা, আহমেদ হাসান সানি, পারসা গান পরিবেশন করেন। এরপর গান পরিবেশন করে অ্যাশেজ ব্যান্ড।

সন্ধ্যা ৭টায় মূল আকর্ষণ ড্রোন শো শুরু হয়। সংসদের আকাশে ১২টি মোটিফ প্রদর্শনের মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

১৪ মিনিটের এই ড্রোন শোতে মুক্তির আনন্দ, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় শহীদ আবু সাঈদের নির্ভীক আত্মত্যাগ, আন্দোলনের নারী, ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী সংস্কৃতি, জাতীয় ঐক্য এবং চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব তুলে ধরা হয়। এছাড়াও ছিল ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সংহতি প্রকাশ করে একটি দৃশ্য।
Comments