চিকিৎসকের অবহেলায় পবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ: তদন্তে কমিটি, পরীক্ষা-ক্লাস বন্ধ

পবিপ্রবি
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ফাইল ফটো

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হুসাইন মোহাম্মদ আশিক পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

আশিকের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট এলাকায়। তার পিতা নূরে আলম সরকার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত।

আশিকের মৃত্যুর খবরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার সহপাঠীরা বিক্ষোভে ফেটে পরে। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

সোমবার দুপুরে আশিক সহপাঠীদের সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে নেমে ডুবে গেলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেলে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে 'চিকিৎসকের অবহেলায়' আশিক মারা যান বলে দাবি করেছেন তার সহপাঠীরা।

তাদের অভিযোগ, আশিককে হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসকদের ডাকা হলেও কেউ আসেনি।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবারের সব পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ ছাড়া, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সিভিল সার্জন মো. খালেদুর রহমান মিয়াকে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেক হাওলাদার. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল, পবিপ্রবি প্রক্টর, পবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক এবং পবিপ্রবি শিক্ষার্থী মইন উদ্দিন, নুরে আল ফাহাদ ও মীম সাদাত শাহরিয়ারকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

পবিপ্রবি উপাচার্য ড. কাজী রফিকুল ইসলাম তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।

তিনি বলেন, 'আশিকের অকাল মৃত্যুতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন শোকাহত ও মর্মাহত।'

সোমবার রাতেই আশিকের মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে তার মরদেহ কুড়িগ্রামে নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Mob violence now alarmingly routine

Rights groups say the state's failure to act swiftly and decisively has to some extent emboldened mobs and contributed to a climate where vigilante justice is becoming commonplace.

8h ago