পরিসংখ্যানের আলোয় টেস্টে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে

২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের পরের বছর বাংলাদেশ এই সংস্করণে দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় জিম্বাবুয়েকে। হোম-অ্যাওয়ে মিলিয়ে আফ্রিকার দেশটির বিপক্ষে খেলেছে ১৮ টেস্ট। শুরুর দিকে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের কাছে ছিলো প্রবল প্রতিপক্ষ, বৃষ্টি না হলে হারই ছিলো অবধারিত নিয়তি। তবে সেই সময় বদলে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট নামতে শুরু করে নিচের দিকে, বাংলাদেশের হয় উত্তরণ। পরিসংখ্যানে যদিও পাল্লাটা প্রায় সমান-সমান।
হেড টু হেড
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৮ টেস্ট খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ৮টিতে, জিম্বাবুয়ের জয় ৭ টেস্টে। ড্র হয়েছে তিন টেস্ট। ২০২১ সালে হারারেতে দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়েও জিতেছিলো বাংলাদেশ। কেবল বাংলাদেশের মাঠ ধরলে দুই দল খেলেছে ১০ টেস্ট, যার ছয়টি জিতেছে বাংলাদেশ, দুটি জিম্বাবুয়ে। বাকি দুটি ড্র।
জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট জয় ২০১৮ সালে। কাকতালীয়ভাবে সেই টেস্টটি হয়েছিলো সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, সেটি ছিলো সিলেট ভেন্যুর প্রথম টেস্ট।
সবচেয়ে বেশি রান টেইলরের
টেস্টে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান সাবেক অধিনায়ক ব্র্যান্ডন টেইলরের। ১২ টেস্ট খেলে ৬১.৯৫ গড়ে, ৫ সেঞ্চুরিতে টেইলর বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছেন ১২৩৯ রান। দ্বিতীয় অবস্থানেও জিম্বাবুয়ের আরেক ব্যাটার। ১০ টেস্টে ৪৬.৪৭ গড়ে করেছেন ৮৮৩ রান। তিন নম্বরে পাওয়া যায় একজন বাংলাদেশিকে। ১০ টেস্টে ৫৭.১৩ গড়ে ৮৫৭ রান আছে মুশফিকুর রহিমের। মুশফিক এবারের সিরিজেও আছেন, কাজেই মাসাকাদজাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ তার সামনে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিকের আছে ২ সেঞ্চুরি, যার একটি ডাবল সেঞ্চুরি। চারে আছেন মুমিনুল হক। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ টেস্টে করেছেন ৭৫৭ রান, সেঞ্চুরি ৩টি, ফিফটি তিনটি।
সবচেয়ে বেশি উইকেট তাইজুলের
ব্যাটিংয়ে দাপট না থাকলেও বোলিংয়ে বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশ ৪১ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ৬ টেস্টে মাত্র ২২.১২ গড়ে এই শিকারগুলো ধরেন তাইজুল। নিজের রেকর্ড চলতি সিরিজে আরও উপরে নিতে পারেন তিনি। দুইয়ে আছেন বাংলাদেশের সফলতম ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ৭ টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার শিকার ৩১ উইকেট। তিনে আছেন জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জার্ভিস। ৫ টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এনামুল হক জুনিয়র ৩ টেস্ট খেলেই এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিয়েছেন ২১ উইকেট। যাতে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ে আছে অবদান। এছাড়া জিম্বাবুয়ের প্রয়াত তারকা হিথ স্ট্রিক ও বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজের আছেন সমান ২০ উইকেট।
Comments