প্রতিপক্ষ নয় ‘বল বাই বল’ চিন্তা করে খেলে বাংলাদেশ

ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে সমর্থক সবাই বলছেন জিম্বাবুয়ে সহজ প্রতিপক্ষ। 'বাংলাদেশের ক্রিকেটের যখন খারাপ সময় যায় তখনই খেলতে ডাকা হয় জিম্বাবুয়েকে', এমন টিপ্পনী চালু আছে। তবে সমর্থক ও গণমাধ্যমের এই দৃষ্টিকোণে একমত নন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের মাপকাঠিতে অন্য যেকোনো বড় দলের সমান গুরুত্বেই অবস্থান জিম্বাবুয়ের। এক্ষেত্রে খেলার মাঠে প্রতিপক্ষের চেয়ে নির্দিষ্ট বলের উদাহরণ দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার শুরুর দিনগুলোতে জিম্বাবুয়ে ছিলো বাংলাদেশের জন্য প্রবল প্রতিপক্ষ। তখনকার জিম্বাবুয়ে দলে খেলতেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, হিথ স্ট্রিকের মতন বিশ্বমানের ক্রিকেটার। সময়ের স্রোতে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট হারিয়েছে মান, হেঁটেছে পেছনের দিকে, অন্য দিকে প্রত্যাশিত সাফল্য না পেলেও বাংলাদেশের হয়েছে উত্তরণ। এখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা মানেই ধরে নেওয়া হয় অবধারিত জয় এমনকি রেকর্ডের হাতছানি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৮ টেস্ট খেলে বাংলাদেশে জয় ৮টি, হার ৭টি। তবে হারগুলো বেশিরভাগ শুরুর দিকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোকে বাংলাদেশেরই দাপট।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতলে খুব বেশি বাহবা পাওয়া যাবে না, হারলে পড়তে হবে কড়া সমালোচনায়। এই বাস্তবতা আঁচ করলেও সিরিজ শুরুর আগে শান্ত দিলেন তাদের ভিন্নমত, 'না, আমরা এভাবে দেখছি না কারণ এই জিনিসগুলা আসলে অনেক সময় আপনাদের (সংবাদ মাধ্যম) থেকে আসে, অনেক সময় সাধারণ মানুষ যারা তাদের থেকেও আসে। তারা আসলে এই তুলনাটা করেন যে জিম্বাবুয়ে বা ছোট দল বা বড় দল এই জিনিসগুলো।
'কিন্তু পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমরা আসলে একেকটা বল বাই বল চিন্তা করি যে কীভাবে ওই বলটার সঙ্গে আমরা লড়াই করে জিততে পারি। কাজেই গুরুত্বপূর্ণ ওইটাই যে আমরা কীভাবে আমাদের যে সেরা খেলাটা আছে ওটা খেলতে পারি। প্রতিপক্ষ যেই দলই হোক আমি একটু আগে যেটা বললাম যে আমরা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যেভাবে খেলবো সেই মন মানসিকতা, সেই শরীরী ভাষা, সেই চিন্তাভাবনাটা যেন সাউথ আফ্রিকা দলের সঙ্গেও থাকে বা আরেকটা দল বড় দলের সঙ্গেও থাকে। এই জায়গাটা যেন আপনাদের মধ্যেও ফারাক তৈরি না হয়। আমি মনে করি যে আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে এরকম ফারাক নাই যে ছোট দলের সঙ্গে খেলছি বা বড় দলের সঙ্গে খেলছি।'
Comments