প্রথম বিদেশি হিসেবে চীনা মহাকাশ স্টেশনে যাবেন পাকিস্তানের মহাকাশচারী

প্রথম বিদেশি নাগরিক হিসেবে চীনের তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন পাকিস্তানের এক মহাকাশচারী।
আজ বৃহস্পতিবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে পাকিস্তানের সেই মহাকাশচারীকে এখনো বাছাই করা হয়নি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত বছর চীনা চন্দ্রযানের মাধ্যমে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা, ফ্রান্স এবং ইতালির পাশাপাশি চাঁদে একটি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল পাকিস্তান।
১৯৯৮ সালে পৃথিবীর কক্ষপথে চালু হওয়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পাশাপাশি তিয়ানগং বর্তমানে দুটি চলমান মহাকাশ স্টেশনের একটি। ২০২১ সালে এর কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে শুধু চীনের মহাকাশচারীই এই স্টেশনে পা রেখেছেন।
জ্যোতির্পদার্থবিদ ও হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কুয়েন্টিন পার্কার বলেন, 'মিশনটি চীনা মহাকাশ স্টেশনকে আন্তর্জাতিকীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।'
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সি (সিএমএস) জানিয়েছে, পাকিস্তানের যে মহাকাশচারীকে বাছাই করা হবে, তাকে মহাকাশ স্টেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ হতে হবে এবং যিনি মহাকাশ স্টেশনে দৈনন্দিন কার্যক্রমের পাশাপাশি পাকিস্তানের জন্য বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।
পাকিস্তানের মহাকাশ সংস্থার (সুপারকো) উপ-পরিচালক আমজাদ আলী বিষয়টিকে পাকিস্তানের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
বুধবার রয়টার্সকে তিনি বলেন, 'পাকিস্তানের জন্য বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রথম বিদেশি নাগরিক হিসেবে একজন পাকিস্তানি চীনা মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার এবং চীনা মিশনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।'
আলী জানান, এই মিশনের জন্য তারা আগামী মাসে পাঁচ থেকে ১০ জন মহাকাশচারীর একটি তালিকা করবেন, পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে দুজনকে চূড়ান্ত করা হবে।
পরবর্তীতে এই দুজনকে চীনে ছয় থেকে এক বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মধ্যে একজনকে আগামী বছরের অক্টোবরের প্রথম দিকে মহাকাশ মিশনে পাঠানো হবে। অন্যজন রিজার্ভ হিসেবে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
Comments