ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করল নতুন রাজনৈতিক দল 'জনতা পার্টি বাংলাদেশ'।

'গড়বো মোরা ইনসাফের দেশ' স্লোগান নিয়ে দলটি তাদের ২৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল অনুষ্ঠিত হওয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও সাবেক আমলাসহ বিভিন্ন পেশা থেকে যোগ দেওয়া নেতাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সিনিয়র সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদকে মহাসচিব করা হয়েছে। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলনকে দলটির মুখপাত্র ও নির্বাহী চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, 'নিরাপদ সড়ক চাই-এর মাধ্যমে আমি যেমন সততার সঙ্গে এদেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি, ঠিক তেমনি এই রাজনৈতিক প্লাটফর্মের মাধ্যমে সততা নিয়ে জাতির সেবা করতে চাই।'

রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, '৩২ বছর ধরে সড়ক নিরাপত্তার জন্য কাজ করেছি, সরকারের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা ছাড়াই। তবে এখন বুঝতে পারি, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও রাষ্ট্রের সহযোগিতা ছাড়া এ ধরনের পরিবর্তন সম্ভব নয়।'

লিখিত বক্তব্যে শওকত মাহমুদ বলেন, 'গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং সব ধরনের বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমরা এই দল গঠন করছি। মুক্তিযুদ্ধ, ৭ নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভুত্থানে অনুপ্রাণিত হয়ে জনতা পার্টি বাংলাদেশের ব্যানারে আমাদের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হলো।'

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, 'আমাদের প্রাথমিক রাজনৈতিক কর্তব্য হলো—ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে আগামীর বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তোলা। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলায় আমাদের লক্ষ্য।'

শিগগিরই নির্বাচন কমিশনে দলের গঠনতন্ত্র, লোগো, নির্বাচনী প্রতীক ও পতাকা জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সদ্য ঘোষিত দলটির কমিটিতে ছয়জন ভাইস-চেয়ারপারসন রয়েছেন। তারা হলেন—রফিকুল হক হাফিজ, ওয়ালিউর রহমান খান, রেহানা সালাম, মো. আবদুল্লাহ, এম এ ইউসুফ ও নির্মল চক্রবর্তী। মহাসচিব শওকত মাহমুদ।

এছাড়া সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম আসাদুজ্জামান। যুগ্ম মহাসচিব এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, আল আমিন রাজু ও নাজমুল আহসান। সমন্বয়কারী নুরুল কাদের সোহেল। সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ আহমেদ। প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক গুলজার হোসেন। প্রচার সম্পাদক হাসিবুর রেজা কল্লোল। সম্মানিত সদস্য হিসেবে আছেন মেজর (অব.) ইমরান ও কর্নেল (অব.) সাব্বির। উপদেষ্টা হিসেবে আছেন শাহ মো. আবু জাফর, মেজর (অব.) মুজিব, ইকবাল হোসেন মাহমুদ, ডা. ফরহাদ হোসেন মাহবুব, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, আউয়াল ঠাকুর, তৌহিদা ফারুকী ও মামুনুর রশীদ।

Comments

The Daily Star  | English

Drug smuggling via air, land routes on the rise

This grim picture emerges as Bangladesh, like other countries around the world, observes the International Day Against Drug Abuse and Illicit Trafficking today.

12h ago