'ফাইনালে' আবাহনীকে ২৪১ রানের টার্গেট দিয়েছে মোহামেডান

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দলের প্রয়োজনে হাল ধরেছিলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল ইসলাম। শতরানের জুটিতে দুইজনই পেলেন ফিফটি। কিন্তু কাটায় কাটায় ৫০ রান পুরনের পরপরই বিদায় নিলেন দুইজন। এরপর আর কেউ দায়িত্ব নিতে না পারলে সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মোহামেডানকে।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪০ রান করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

ম্যাচটি এক অর্থে অলিখিত ফাইনাল দুই দলের জন্য। যদিও মোহামেডানের চেয়ে দুই পয়েন্ট বেশি তাদের। রানরেটেও এগিয়ে। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে দেখা হয় 'হেড টু হেড'। যেখানে দুই দলের প্রথম মোকাবেলায় জিতেছিল মোহামেডান। তাই এই ম্যাচের ফলাফলের উপরই নির্ভর করছে শিরোপা।

এদিন টস জিতে মোহামেডানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আবাহনী। তৌফিক খান তুষারকে নিয়ে শুরুটা ভালোই করেন রনি তালুকদার। তাদের ওপেনিং জুটিতে আসে ৫০ রান। এরপর ১৬ রানের ব্যবধানে ফিরে যান এ দুই ওপেনার। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে রিপন মণ্ডলের শিকার হন রনি। এর আগে তৌফিককে আউট করেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

দলীয় একশ রান হওয়ার আগে মাহফুজুর রাব্বির শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন আনিসুল ইসলামও। ফরহাদ হোসেন চেষ্টা করেছিলেন। ব্যক্তিগত ৪২ রানে ফিরে যান মেহেরব হাসানের বলে। এরপর দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল। গড়েন ১১৪ রানের জুটি। তাতেই মাঝারী পুঁজি পায় দলটি।

তবে ফিফটির পরপরই দুই ব্যাটার ফিরে গেলে স্লগ ওভারের সুবিধা নিতে পারেনি মোহামেডান। ব্যক্তিগত ৫০ রানে দুই ব্যাটারকেই ফিরিয়েছেন আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শেষ পাঁচ ওভারে এসেছে কেবল ২৬ রান। আবাহনীর হয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মোসাদ্দেক ও মৃত্যুঞ্জয়।

Comments

The Daily Star  | English

'Election Commission shamelessly favouring a particular party'

Hasnat Abdullah says police obstructed NCP leaders and activists from entering EC building

1h ago