তিন তারকার ক্যারিয়ারে মায়ের ভূমিকা

আন্তর্জাতিক মা দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে নানাভাবে। মাকে আজ একটু ভিন্নভাবে, বেশি করে স্মরণ করা হচ্ছে। শোবিজ তারকারাও মাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছেন, ভালোবাসার কথা জানাচ্ছেন।

তিনজন তারকা মা দিবসে কথা বলেছেন তাদের মাকে নিয়ে। জানিয়েছেন ক্যারিয়ারে মায়ের অবদানের কথা।

সুমাইয়া শিমু

আমার ক্যারিয়ারে মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। শুধু শোবিজ ক্যারিয়ার নয়, পড়ালেখার ক্ষেত্রেও মায়ের ভূমিকা অনেক। বাবার ভূমিকাও আছে। কিন্তু মা দিবসে মাকে নিয়েই বলতে চাই। মাকে নিয়ে বলে তো শেষ করা যাবে না। কোনো সন্তানই মাকে নিয়ে বলে শেষ করতে পারবে না। মা আমার কাছে সম্মান, ভালোবাসা। আজ মা দিবসে মাকে সম্মানিত করা হয়েছে। মা জীবদ্দশায় সম্মানিত হয়েছেন, এটি আমার জন্য অনেক বড় বিষয়।

আমার পরিবারে পড়ালেখার বিষয়টি ছিল। পাশাপাশি কালচারাল অনুষ্ঠানও করতাম। ক্যারিয়ারের শুরুতে যখন প্রথম নাটক করতে যাই, পরিবারের সমর্থন পেয়েছি। তখন মায়ের শতভাগ সমর্থন ও ভালোবাসা ছিল। মা পাশে ছিলেন বলেই অভিনয় করতে পেরেছি। শুরুর দিকে মা শুটিংয়ে যেতেন। শুধু আমি না, অনেকের মা যেতেন। মা আমার জন্য অনেক করেছেন। সেজন্য, ক্যারিয়ারে মায়ের ভূমিকার কথা লিখে শেষ করতে পারব না।

আজকে মানুষের যতটুকু ভালোবাসা পাচ্ছি, সম্মান পাচ্ছি, মায়ের জন্যই সম্ভব হয়েছে। মা পাশে ছিলেন বলেই এতদূর আসতে পেরেছি। মা দিবসে আমার মাসহ সব মায়ের প্রতি ভালোবাসা।

সজল

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মায়ের অবদানই সবচেয়ে বেশি। শুরুতে আব্বা চাইতেন না আমি শোবিজে কাজ করি। আমার বোন ও মা রাজি করিয়েছিলেন। বোন ও মায়ের জন্যই কাজ করা সম্ভব হয়েছিল। আব্বা বিদেশে থাকতেন। আব্বা চাইতেন পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। অনেক বলে রাজি করানো হয়েছিল। তারপরও শর্ত ছিল খুব কম কাজ করতে পারব। কাজেই, এখন পেছনে ফিরে তাকালে ভাবি—সেদিন যদি মা সব ব্যবস্থা না করে দিতেন, তাহলে এতদূর আসা সম্ভব হতো না। এখানে কাজ করা হয়তো সম্ভব হতো না। তাই জোর দিয়ে বলব মায়ের অবদানের কথা। এখনো ঘরে না ফেরা পর্যন্ত মা অপেক্ষা করেন। মা জেগে থাকেন। পারিবারিক অনেক অনুষ্ঠানে সময় করতে পারি না, যেতে পারি না, সবকিছু মা সামলান। ছোটবেলায় অসুস্থ থাকলে মা কতটা করেছেন, তা চোখে ভাসে আজও। মা আসলেই সবকিছুর ঊর্ধ্বে।

তমা মীর্জা

আমার সফলতার সমান অংশীদার মা। আমি যখন কোনো পুরস্কার পাই, বড় কোনো অ্যাচিভমেন্ট ঘরে আসে, আমার চেয়ে মা বেশি খুশি হোন। আমার এতদূর এবং এত বছরের জার্নির সঙ্গে মা আছেন এবং তিনি থাকবেন। বারবার করে বলতে চাই, আমার জীবনে মায়ের অবদান অসম্ভব রকমের বেশি। মাকে আমি আম্মু ডাকি। আব্বুর সমর্থনও আছে। কিন্তু মায়ের বেশি। ক্যারিয়ারের শুরুতে সেটে সবসময় মা যেতেন। এমনও হয়েছে সারাদিন সিনেমার শুটিং করার পর রাতভর বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছি। এই ঘটনা গাজীপুরের। শীতের সময় বিজ্ঞাপন করছি। মাকে বললাম, তুমি ঘুমাও। মা বললেন, না, তুমি এত কষ্ট করছ, আমিও জেগে থাকব। এই হচ্ছে মা। মায়েরা এমনই হয়। মায়েরা সব পারে সন্তানের জন্য। ক্যারিয়ারে জোয়ার-ভাটা আছে। মা সবসময় বলতেন, তুমি পারবা। এই কথাটি আমাকে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus leaves for UK on four-day official visit

The two countries are working to renew their bilateral ties, with an increased focus on economic cooperation, trade and investment

2h ago