১৯ বছর পর বাবার অতিথি হচ্ছেন ছেলে

ফেরদৌস ওয়াহিদ ও হাবিব। ছবি: সংগৃহীত

আজ থেকে প্রায় ১৯ বছর আগে ২০০৬ সালে প্রথমবার বাবা ফেরদৌস ওয়াহিদের অতিথি হয়ে চ্যানেল আইয়ের 'নীলাঞ্জনা' অনুষ্ঠানে এসেছিলেন পুত্র হাবিব ওয়াহিদ। 

দেড় যুগেরও বেশি সময় পর আবারও একসঙ্গে অনুষ্ঠানে আসছেন বাবা-ছেলে। 

এবার অনুষ্ঠানের নাম 'চেনা মুখ দুঃখ সুখ'। অনুষ্ঠানটি আগামীকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় চ্যানেল আইতে  প্রচারিত হবে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন পুনম প্রিয়াম। 

ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, 'উপস্থাপনা আমি এর আগেও করেছি। এবার পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনা করলাম। সফল তারকারা এ অনুষ্ঠানে আসবেন।'

'একটা অনুরোধ ছিলো প্রথম পর্বে যেন অতিথি হয়ে আসেন হাবিব ওয়াহিদ। এটা করতে গিয়ে বুঝলাম, স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠানটি করার সুযোগ আছে,' বলেন তিনি।

হাবিব ছাড়াও এ অনুষ্ঠানে হায়দার হোসেন, আগুন, হোমায়েরা বশীর, অবসকিওর ব্যান্ডের টিপু, নোভা ব্যান্ডের ফজল, ডিফারেন্ট টাচ ব্যান্ডের মেজবাহ, মিল্টন খন্দকার, কুদ্দুস বয়াতিসহ আরও অনেকেই অতিথি হিসেবে থাকছেন। 

ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, 'আমার কাছে ভালো লাগার ব্যাপার হলো, নতুন করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে চিনছি, জানছি, বুঝছি,  যেগুলো আগে জানতাম না। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানার সুযোগ হলো।' 

সংগীত পরিচালক ও গায়ক হাবিব ওয়াহিদ বলেন, 'বাবার উপস্থাপনায় এর আগেও অতিথি হয়েছি এটা ঠিক। এবার মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে যে বিষয়টি উপভোগ করছিলাম, সেটা হলো বাবার উপস্থাপনার ধরন।'

'আমার কাছে মনে হয়েছে, বেশ ভালোই উপস্থাপনা করতে পারেন তিনি। আমি খুব বেশি টেলিভিশন দেখি না, তারপরও যতটুকু বুঝলাম, বাবার উপস্থাপনার মাঝে নতুনত্ব আছে, যা আমি অন্য কোনো উপস্থাপকের মধ্যে দেখিনি,' বলেন তিনি।

হাবিব ওয়াহিদ আরও বলেন, 'দর্শকদের অনুষ্ঠানটি ভালো লাগবে। একজন শিল্পীর সুখ-দুঃখ থেকে শুরু করে যে ধরনের প্রশ্ন ছিল, আমার কাছে মনে হয়েছে খুবই ইন্টারেস্টিং। দর্শক উপভোগ করবেন। ছোটবেলা থেকেই বাবাকে দেখে বড় হয়েছি। এজন্য আমার কাছে উত্তর দেওয়া কঠিন মনে হয়নি।'

'শুধু বাবা-ছেলে নয়, দীর্ঘদিন একসঙ্গে একই প্রফেশনে আছি। একসঙ্গে অনেক শো করেছি। ব্যপারটা খুব কঠিন করে দেখিনি বরং আমার কাছে আরও সহজ মনে হয়েছে। অপরিচিত একজনের কাছে উত্তর দেওয়ার চেয়ে পরিচিত মানুষের কাছে উত্তর দেওয়া বেশি সাবলীল, সহজ এবং আরও বেশি ইন্টারেস্টিং,' বলেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

'Don't merge SIBL'

Shareholders urge BB, ministry in separate letters

2h ago