সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল

রাজু ভাস্কর্য থেকে এ মশাল মিছিল শুরু হয়। ছবি: স্টার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে 'সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে ঢাবি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এ মশাল মিছিল শুরু হয়।

মিছিলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

মশাল মিছিলে হত্যার বিচার দাবি করা হয়। ছবি: স্টার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে একটি মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ রাত ৮টা ২০ মিনিটে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই মিছিলে অংশ নেন।

মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যথেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবন ও হলপাড়া প্রদক্ষিণ করে।

রাত পৌনে ৯টার দিকে মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়।

হত্যার বিচার, নিরাপদ ক্যাম্পাসের পাশাপাশি মিছিল থেকে ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। 

এ ঘটনায় আজ সকালে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনজনই বহিরাগত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই শরিফুল আলম শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। 

নিহত শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হল ইউনিটের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।

তার সহপাঠী আশরাফুল ইসলাম রাফি জানান, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বাসিন্দা সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (২০১৮-১৯ সেশন) ছাত্র। হলের ২২২ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন তিনি।

রাফি জানান, সাম্য মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য একটি বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সাম্যের ডান উরুতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

ঘটনা তদন্ত এবং এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে সাত-সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

10h ago