চা-শ্রমিক মা ও ঢাবি শিক্ষার্থী ছেলেকে জেলা প্রশাসনের সম্মাননা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর পাস করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন চা-শ্রমিক মায়ের সন্তান সন্তোষ রবিদাস অঞ্জন। সন্তোষের সংগ্রামী মা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরের ফাড়ি কানিহাটি চা বাগানের শ্রমিক কমলি রবিদাসকে সম্মাননা দিয়েছেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
সন্তোষ
সন্তোষকে সংবর্ধনা দিচ্ছেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর পাস করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন চা-শ্রমিক মায়ের সন্তান সন্তোষ রবিদাস অঞ্জন। সন্তোষের সংগ্রামী মা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরের ফাড়ি কানিহাটি চা বাগানের শ্রমিক কমলি রবিদাসকে সম্মাননা দিয়েছেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।

রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সন্তোষ ও তার মা কমলি রবিদাসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

তবে কমলি যেতে না পারায় জেলা প্রশাসক সন্তোষের মাধ্যমে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

মাকে নিয়ে সন্তোষ রবিদাস অঞ্জনের একটি আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয় গত ১৭ আগস্ট।

সন্তোষ রবিদাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ ফ্যাকাল্টির মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করেছেন।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সন্তোষকে আমন্ত্রণ জানাই এবং তার মায়ের প্রতি ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করি।'

এ সময় তিনি সন্তোষকে কমলগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীণ শিক্ষকতা করার প্রস্তাব দেন। এছাড়া আবুল খায়ের গ্রুপসহ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে চাকরির কথা বলা হয়। 

এ বিষয়ে সন্তোষ পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।

জেলা প্রশাসক বলেন, 'এক চা-শ্রমিক মায়ের শিক্ষার জন্য এমন ত্যাগ একটি অনন্য উদাহরণ। আমরা মাকে সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি।'
 
তিনি জানান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সন্তোষের পরিবারকে সহায়তার জন্য এক লাখ টাকা দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এই টাকা সন্তোষের হাতে তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

সন্তোষ রবিদাস বলেন, 'আমার মাকে সম্মানিত করায় জেলা প্রশাসনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।'

 

Comments