যে কারণে কক্সবাজারে মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনী সদস্যরা

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে মার্কিন সেনা সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনী সদস্যদের উপস্থিতি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরকম কিছু ছবি ছড়িয়ে যাওয়ার পর তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি প্রশিক্ষণের জন্য মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনী সদস্যদের একটি দল বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন।

গত ১৮ মে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয় এবং চার দিনের প্রশিক্ষণ শেষ হয় আজ বুধবার।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে মার্কিন সেনা সদস্যদের প্রশিক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত

বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের উদ্ধারকাজ পরিচালনা নিয়ে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে।

জানতে চাইলে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তানহারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে।'

মার্কিন সেনারা এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে মার্কিন সেনা সদস্যদের প্রশিক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও জানান, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ১৫ কর্মী এতে অংশ নিয়েছেন।

মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর নয় সদস্য তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বলেন, 'আজ বুধবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্যারাসেইলিং পয়েন্টে প্রশিক্ষণের শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।'

'মার্কিন দূতাবাসের সহায়তায় এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে,' বলেন তিনি।

তিনি জানান, প্রশিক্ষণে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের সময় আটকে পড়া মানুষ উদ্ধারের কৌশল অন্তর্ভুক্ত ছিল। পানিতে ভেসে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের কীভাবে বাঁচানো যায় তাও প্রশিক্ষণের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

'এই প্রশিক্ষণটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরিচালিত হয়েছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Israel launches major attack on Iran

‘Nuclear plant, military sites’ hit; strikes likely killed Iranian chief of staff, top nuclear scientists; state of emergency declared in Israel, fearing Iranian retaliation

1h ago