সমালোচনার মধ্যেই 'উপহারের' উড়োজাহাজ নিলেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের নিত্যদিনের সঙ্গী এয়ারফোর্স ওয়ান। ছবি: এএফপি

আনুষ্ঠানিকভাবে কাতারের রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে একটি বিলাসবহুল উড়োজাহাজ গ্রহণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে শত্রু-মিত্র দুই পক্ষ থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে আছেন তিনি।

বিবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেন্টাগন বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, কাতারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া বোয়িং ৭৪৭ জেটলাইনারটি গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্টের পরিবহনের উপযোগী এয়ার ফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজে রূপান্তর করতে এতে কিছু পরিবর্তন আনবে বিমান বাহিনী।

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরকালে গত ১১ মে মার্কিন গণমাধ্যম প্রথম জানায়, কাতারের রাজ পরিবারের কাছ থেকে এই উড়োজাহাজটি গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

এই উপহার সম্পর্কে গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, 'কাতার উপহার হিসেবে এটা দিচ্ছে। গ্রহণ না করাটা বোকামি হবে।' 

তিনি আরও জানান, উড়োজাহাজটি তাকে না, বরং প্রতিরক্ষা বিভাগকে দেওয়া হচ্ছে। কার্যালয় ছেড়ে যাওয়ার পর তিনি এটি আর ব্যবহার করবেন না বলেও দাবি করেন।
 
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা এই উপহার পাওয়াকে আইনসম্মত বলে ঘোষণা দিলেও এক সপ্তাহর বেশি ধরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সমালোচনার মুখে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক দলের হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, 'কেউই ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি উড়োজাহাজ বিনামূল্যে দেয় না। এর বিনিময়ে কিছু না কিছু প্রত্যাশা অবশ্যই থাকে।'

শুধু বিরোধী শিবির না, ট্রাম্পের নিজের দলের অনেক নেতাও এ ব্যাপারে তার সমালোচনা করছেন। 

রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর র‍্যান্ড পল সম্প্রতি ফক্স নিউজকে বলেন, 'ঠিক-ভুলের আলাপ পরে। দেখতে যে অনৈতিক মনে হচ্ছে, সেটা চিন্তা করেই উপহারটা নেওয়া উচিত হয়নি।' 

'এই বিশাল উপহার গ্রহণের পর এখন আমরা কাতারের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে কতটা কথা বলতে পারব, তা নিয়েই ভাবছি আমি,' যোগ করেন তিনি। 

আরেক রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ বলেন, এই উড়োজাহাজ 'গুপ্তচরবৃত্তি ও নজরদারির সমস্যা' তৈরি করতে পারে।

পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র শন পারনেল এক বিবৃতিতে জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের সব নিয়ম মেনেই কাতারের কাছ থেকে বোয়িং ৭৪৭ বিমানটি গ্রহণ করা হয়েছে । 

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানমতে, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া সরকারের কেও অন্য দেশ থেকে উপহার নিতে পারেন না। এই উড়োজাহাজ গ্রহণ এখনো কংগ্রেসের অনুমোদন পায়নি। 

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

7h ago