ঈদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মশা নিয়ন্ত্রণের কোনো পরিকল্পনা নেই সেনাবাহিনীর: আইএসপিআর

আইএসপিআর
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অথবা ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণের কোনো পরিকল্পনা নেই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

সম্প্রতি গণমাধ্যমের কিছু প্রতিবেদনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ঈদের পর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে সেনাবাহিনী সহায়তা করবে। এসব প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে সেনাবাহিনী।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে— বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের কোনো কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত নয় এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের নাগরিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংস্থার, সশস্ত্র বাহিনীর নয়।

সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।

পরবর্তীতে ডিএনসিসি সংবাদ মাধ্যমের কাছে দেওয়া পাল্টা বিবৃতিতে জানায়, এ বিষয়টি কিছু গণমাধ্যম প্রতিবেদনে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজ জানান, সংস্থাটি নিজেই ঈদের সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ডিএনসিসি দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনীর অবদানে গর্বিত।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পস ও বিভিন্ন সহায়ক সংস্থাগুলো ডিএনসিসি তথা সারা দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

'ডিএনসিসি সরাসরি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করবে না। বরং সেনাবাহিনীর সহায়ক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) সহযোগিতা নেওয়া হবে,' উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি সিলেট, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশনের মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Japan for concluding EPA soon to boost economic, trade ties

Japanese PM Ishiba described Bangladesh as a long-standing friend and said that Japan would stand by Bangladesh in its endeavour for a democratic transition

35m ago