লার্ভার তথ্য দিন, ১৫ মিনিটে পৌঁছাবে ডিএসসিসির কর্মী: মেয়র তাপস

তাপস
শেখ ফজলে নূর তাপস। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

এডিস মশার প্রজননস্থল কিংবা লার্ভা পাওয়া যেতে পারে এমন স্থান ও স্থাপনার তথ্য দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

তিনি জানান, তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে ১৫ মিনিটেই করপোরেশনের মশককর্মী সংশ্লিষ্ট স্থানে পৌঁছে মশার লার্ভা ধ্বংসে ব্যবস্থা নেবে।

আজ বুধবার হাতিরঝিল জল নিষ্কাশন যন্ত্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র তাপস এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'ঢাকাবাসীকে বিনীত অনুরোধ করছি আপনারা যেখানে মনে করবেন যে লার্ভা পাওয়া যেতে পারে বা আশঙ্কা করবেন পানি জমে আছে লার্ভা হতে পারে, তাহলে আমাদের জানান। ১৫ মিনিটের মধ্যে আমাদের মশককর্মী, মশক সুপারভাইজারসহ গিয়ে সেই লার্ভা ধ্বংস করবে। পানির আধার নষ্ট করে সেই জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দিতে পারবে।'

'পানি কোথাও জমতে দেবেন না। পানির উৎস ধ্বংস করতে পারলে ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্ত হতে পারব,' বলেন তিনি।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, 'এবার ডেঙ্গু আগেই চলে এসেছে। যে সময় তীব্র দাবদাহ ছিল সেই সময়েও ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। অথচ সেই সময় হওয়ার কথা নয়। বিষয়গুলো আমরা আমলে নিচ্ছি, আমাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করছি।'

'২০২১ সালে আমরা ২ মাসের কার্যক্রম নিয়েছিলাম। সেটাকে বৃদ্ধি করে এখন আমরা ৪ মাসের কার্যক্রম নিয়েছি। কেউ বলতে পারবে না কোনো ঠিকানা, কোনো রোগী, কোনো স্থাপনায় লার্ভার তথ্য দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমাদের মশককর্মী যায়নি,' যোগ করেন তিনি।

'আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি' উল্লেখ করে মেয়র আরও বলেন,  'আপনারা যদি উন্নত দেশের সঙ্গে তথ্য ও পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেখেন, তাহলে দেখবেন অন্যান্য দেশের তুলনায় এখন পর্যন্ত আমরা ভালো অবস্থানে আছি। যদিও আমাদের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃত্যুহার হ্রাস করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে আরও নজর দিতে হবে।'

তিনি বলেন, 'আমাদের বৃষ্টির পরিমাণ অন্য দেশের তুলনায় বেশি হয়েছে। বুঝতে হবে, এটা সামগ্রিক জলবায়ু পরিবর্তন, আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ ও ভৌগোলিক পরিবেশের কারণে এডিস মশা আমাদের দেশে বিস্তৃত হয়েছে। এটা রোধ করতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago