ফারুকের রিট আবেদন বিবেচনায় নিতে হাইকোর্টের অস্বীকার

সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে ফারুক আহমেদকে অপসারণ করে তার উত্তরসূরি হিসেবে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে নিয়োগ দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন জমা দেন ফারুকের আইনজীবীরা।
তবে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আজ ওই রিট আবেদনের বিপরীতে কোন সিদ্ধান্ত জানাতে অস্বীকার করেছে।
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রিট আবেদনটি আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
বিসিবির পক্ষের আইনজীবী মাহিন এম রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আবেদনের বিষয়বস্তু নিয়ে সন্তুষ্ট হয়নি বেঞ্চ। এ কারণে তারা এ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। একইসঙ্গে, এনএসসির সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে কার্যকর হয়ে যাওয়ার বিষয়টিও তাদের এই পদক্ষেপে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আরও জানান, হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এনএসসির সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে।
এনএসসির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও বিসিবির নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট বুলবুলের পক্ষে আইনজীবী মাহিন এম রহমান ও ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম শুনানিতে অংশ নেন।
সাবেক বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস।
গতকাল রোববার জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক তাকে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে অপসারণ ও অপর সাবেক অধিনায়ক বুলবুলকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন করেন। একই সঙ্গে তিনি এই উদ্যোগে স্থগিতাদেশ আরোপের আবেদনও জানান।
বিপিএল সংক্রান্ত সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন এবং নয়জন বোর্ড পরিচালকের আটজনের অনাস্থা বিবেচনায় নিয়ে এনএসসি গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পরিচালক পদে ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সভাপতি পদ হারান তিনি।
পরদিন শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশের আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল নতুন সভাপতি হন বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায়। পরিচালকদের ভোটে সর্বসম্মতিক্রমে নিয়োগ পান তিনি।
দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার ১৭তম সভাপতি আমিনুল। ফারুকের পর তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার, যিনি এই পদে আসীন হয়েছেন।
Comments