হামজার ভূয়সী প্রশংসায় দুই দলের কোচ

অবশেষে ঘরের মাঠে অভিষেক হলো হামজা চৌধুরীর। আর অভিষেকেই চমক দেখিয়েছেন লেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার। ম্যাচের শুরুতেই একটি দুর্দান্ত হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন তিনি, আর সেই গোলের ওপর ভর করেই লাল-সবুজের দল ২-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

গত মার্চে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় হামজার। তবে ঘরের মাঠে এই ছিল তার প্রথম ম্যাচ। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে জোরালো হেডে জালের দেখা পান এই মিডফিল্ডার। তার এমন দারুণ সূচনার ছাপ ছিল পুরো প্রথমার্ধ জুড়ে। যদিও বিরতির পরই কোচ তাকে তুলে নেন।

বুধবার প্রায় ১৬ হাজার দর্শক হামজাকে মাঠে দেখতে হাজির হয়েছিলেন জাতীয় স্টেডিয়ামে। এবং হামজাও তাদের নিরাশ করেননি। প্রথমার্ধে তার পাস, ট্যাকল ও বল ছোঁয়ার প্রতিটি মুহূর্তেই গ্যালারি গর্জে উঠেছিল করতালিতে। একাধিক গোলের সুযোগও সৃষ্টি করেছিলেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিডফিল্ডার সোহেল রানা। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের নিখুঁত এক শটে বল জালে জড়ান তিনি। এরপর আর কোনো গোল না হলেও লাল-সবুজের দল সেই লিড ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

ম্যাচ শেষে উভয় দলের কোচই হামজার পারফরম্যান্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ দলের কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, 'হামজার প্রভাব প্রথমার্ধেই পরিষ্কার ছিল। বিশেষ করে ম্যাচের শুরুতে সে দারুণ খেলেছে। তার মতো মানসম্পন্ন খেলোয়াড় থাকলে সেটা মাঠে বোঝা যায়। অবশ্য অন্য খেলোয়াড়রাও ভালো করেছে। ভুটান শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল, আমাদের পারফরম্যান্স তাই একটু ভিন্ন ধরণের ছিল।'

ভুটান কোচ আতসুশি নাকামুরাও হামজার প্রশংসা করে বলেন, 'শুধু গোল নয়, সে আরও অনেক দিক থেকেই অবদান রেখেছে। সে নিঃসন্দেহে দলের জন্য দারুণ এক সংযোজন। আমাদের জন্য ম্যাচটা কঠিন ছিল, শুধু হামজার জন্যই নয়, বাংলাদেশের অন্যান্য খেলোয়াড়রাও দারুণ খেলেছে। গত বছর থিম্পুতে দেখা দলের চেয়ে এবারের বাংলাদেশ অনেক উন্নত।'

নতুন তিন মুখ ফাহামেদুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন ও আল আমিনের অভিষেক পারফরম্যান্সে সন্তোষ প্রকাশ করেন ক্যাবরেরা। বিশেষ করে ফাহামেদুলের প্রাণচাঞ্চল্য ও সম্পৃক্ততার কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করেন তিনি, 'প্রথমে হয়তো একটু চাপ ছিল তার মধ্যে, তবে কিছু পাস সফলভাবে দেওয়ার পর সে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় এবং ভালো সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করে। শুধু বল পায়ে নয়, তার মানসিকতা, কার্যকারিতা ও দলে সম্পৃক্ততা সত্যিই প্রশংসনীয় ছিল। পরবর্তী ম্যাচে সে আরও বেশি সময় পেতে পারে।'

ম্যাচ নিয়ে সার্বিক মূল্যায়নে কোচ বলেন, 'আজ আমরা দুটি গোল করেছি, দুটিই মিডফিল্ডারদের থেকে এসেছে। সুযোগও তৈরি হয়েছে অনেক। যদি আমরা সুযোগই না বানাতে পারতাম, সেটা চিন্তার বিষয় হতো। ফাহামেদুল, তাজ ও আল আমিন—তিনজনই ভালো অভিষেক কাটিয়েছে। সামগ্রিকভাবে আমি দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট।'

বাংলাদেশ এখন তাকিয়ে আছে তাদের পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের দিকে যেখানে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচের সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। আগামী ১০ জুন একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

12h ago