বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নামতে মুখিয়ে আছেন হ্যাজেলউড

Josh Hazlewood

আগামী ১১ জুন লর্ডসে শুরু হতে চলা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে অস্ট্রেলিয়ান শিবিরে স্বস্তির খবর। কারণ ইনজুরির কারণে প্রায় ৬ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা অভিজ্ঞ পেসার জশ হ্যাজেলউড আরেকটি বৈশ্বিক শিরোপা মঞ্চের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। সম্প্রতি আইপিএলে ছন্দ দেখানো এই পেসার লাল বল হাতে নিয়ে অনুশীলন সেশনে ছিলেন বেশ চাঙ্গা। কাজেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের অন্যতম প্রধান ভরসা হতে চলেছেন তিনি।

গত বছরে ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ব্রিসবেন টেস্টের পর চোটে হ্যাজেলউড লাল বলের ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ছিলেন না তিনি।  তবে কদিন আগে শেষ হওয়া আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এবং দলের ঐতিহাসিক শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন।

এই মৌসুমে তিনি ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে আরসিবির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন, যা তার ফিটনেস ও ফর্মের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে প্লে-অফে তার পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো, যা আরসিবিকে প্রথমবারের মতো আইপিএল শিরোপা এনে দিতে সাহায্য করেছে। এই পারফরম্যান্স বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে তার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দেবে।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) সম্প্রতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য তাদের শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা করেছে, যেখানে হ্যাজেলউড অনুমিতভাবেই আছেন। এই দলে প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক এবং স্কট বোল্যান্ডের মতো পেসাররাও রয়েছেন। সেরাদেরই তাই বেছে নিতে পারবে অজিরা। 

আইপিএল খেলে ইংল্যান্ডে জাতীয় দলে যোগ দিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ডানহাতি পেসার। গণমাধ্যমকে হ্যাজেলউড শোনান নিজের বিশ্বাসের কথা। নিজেকে ফিট প্রমাণ করে হ্যাজেলউড জানিয়েছেন যে, ইংল্যান্ডে বোলিং করতে তিনি সবসময়ই আত্মবিশ্বাসী এবং লর্ডস তার জন্য বিশেষ জায়গা,  'ইংল্যান্ডে যখনই আমি বল করি, আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস পাই। খেলোয়াড় হিসেবে আমি এখনও লর্ডসে হারিনি, লাল বলের ক্রিকেটে গত কয়েক বছর ধরে আমরা সেখানে বেশ কয়েকটি ভালো জয় পেয়েছি।'

২০২৩ সালে ভারতকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা প্রথমবারের মতন জেতে অস্ট্রেলিয়া। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লর্ডসেই তা ধরে রাখার পালা।

Comments

The Daily Star  | English

'Most of them had lost parts of their skulls'

167 admitted to National Institute of Neurosciences & Hospital during July uprising, doctor tells ICT-1

Now