রোনালদোকে রিবেরির খোঁচা

আবারও ব্যালন ডি'অর জয়ের মানদণ্ড নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ীকেই এই পুরস্কার জয়ের যোগ্য বলে দাবি করেন তিনি। তার এই দাবিতেই তাকে খোঁচা মারার সুযোগ হাতছাড়া করেননি সাবেক ফরাসি তারকা ফ্রাঙ্ক রিবেরি।

উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে পর্তুগাল ও স্পেন মুখোমুখি হওয়ার আগে পর্তুগিজ মহাতারকা বলেন, 'যে ফুটবলার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্যুতি ছড়ায় এবং শিরোপা জেতে, তারই এটি (ব্যালন ডি'অর) পাওয়া উচিত।' যদিও সঙ্গে এটাও যোগ করেন যে, এখন আর তিনি ব্যক্তিগত পুরস্কারকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না, 'আমি জানি পর্দার আড়ালে কী ঘটে। এখন এই ধরনের পুরস্কারের তেমন কোনো মূল্য নেই।'

রোনালদোর এমন মন্তব্য রিবেরির চোখ এড়িয়ে যায়নি। সাবেক ফরাসি উইঙ্গার তির্যক ভঙ্গিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টা জবাব দেন, 'তাহলে ব্যালন ডি'অর জিততে হলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা অবশ্যই দরকার?'

রিবেরি পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত দেন ২০১৩ সালের সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের দিকে, যখন বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে তিনটি শিরোপা (বুন্ডেসলিগা, ডিএফবি-পোকাল ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেও তিনি ব্যালন ডি'অর পাননি, বরং পুরস্কারটি পেয়েছিলেন রোনালদো।

সে মৌসুমে রিবেরি বায়ার্নের অন্যতম প্রাণভোমরা ছিলেন রিবেরি। ১১টি গোল ও ২৩টি অ্যাসিস্ট ছিল তার নামের পাশে। অথচ ভোটাভুটিতে তিনি পড়েন তৃতীয় স্থানে। দ্বিতীয় হন লিওনেল মেসি। সে বছর এই আর্জেন্টাইন তারকা লা লিগা ও সুপার কোপার সঙ্গে জিতেছিলেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটও।

বিতর্কিত সেই বছরে সুইডেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে পর্তুগালের বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে আলোচনায় আসেন রোনালদো। সে বছর ব্যালন ডি'অরের ভোটাভুটির সময়ও বাড়িয়ে দেওয়া হয়, এমনকি আগে ভোট দেওয়া ব্যক্তিরাও ভোটও পরিবর্তন কোর্টে পারেন। এইসকল সিদ্ধান্ত এখনও বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালে।

সম্প্রতি রোনালদো যখন ওসমান দেম্বেলে, ভিতিনিয়া ও লামিন ইয়ামালকে সম্ভাব্য ব্যালন ডি'অর বিজয়ী হিসেবে উল্লেখ করেন, তখন তা নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়—কারণ তার বর্তমান যুক্তি ২০১৩ সালে নিজের জয়ের সময়কার বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

4h ago