চিড়িয়াখানায় ঈদ আনন্দ

সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানায় ভিড় জমায়। বাবা-মায়ের সঙ্গে ছিল শিশুরা। তাদের চোখেমুখে ছিল খুশির ঝিলিক। ছবি: প্রবীর দাশ

ঈদের দ্বিতীয় দিনে ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানায় ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। সেখানে ঘুরতে গেছেন নানা বয়সী মানুষ। সবাই পরিবার নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। ঘুরে ঘুরে ছবি তুলেছেন, পশু–পাখি দেখেছেন। পুরো চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গণে ছিল উৎসবের আমেজ। ঈদের দ্বিতীয় দিনে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঈদ আনন্দ নিয়ে ছবির গল্প।

দুটো জিরাফ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। শিশুরা অবাক হয়ে দেখছিল জিরাফের লম্বা গোলা। ছবি: প্রবীর দাশ

একটি ময়ূর রঙিন পালক মেলে নিজের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে। সবাই দেখছে ময়ূরের কাণ্ড। ছবি: প্রবীর দাশ

খাঁচার চারপাশে ভিড় জমেছিল। কেউ কেউ আরেকটু কাছ থেকে দেখতে রেলিংয়ের উপর ঝুঁকে পড়েন। ছবি: প্রবীর দাশ

মেরি-গো-রাউন্ডের লাইনটি বেশ দীর্ঘ ছিল। শিশুরা মেরি-গো-রাউন্ডের পুরো সময়টা উপভোগ করেছে। ছবি: প্রবীর দাস

ট্রেনে চড়তে কে না ভালোবাসে। সবুজ পথ পেরিয়ে ছোট্ট চিড়িয়াখানার ট্রেনে উঠে পড়ল পরিবারগুলো। ছবি: প্রবীর দাশ

একটি বানর খাবার খাচ্ছে, দর্শনার্থীরা হাসিমুখে বানরকে দেখছিল। শিশুরা হাত নেড়ে অভিবাদন জানাল, যেন বানর তাদের নতুন বন্ধু। ছবি: প্রবীর দাশ

একজন লোক একটি উটপাখিকে খাবার খেতে দেন। একটি শিশু সাবধানে সেই দৃশ্য ভিডিও করে। হয়তো পরে আবার দেখবে বলেই স্মৃতিটুকু ধরে রেখেছে। ছবি: প্রবীর দাশ

একটা হাতি পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। তখন শিশুরা আনন্দে চিৎকার করে ওঠে। সম্ভবত ওরা এই প্রথম এত কাছ থেকে কোনো হাতি দেখেছে। নিশ্চয়ই এটি তাদের কোমল মনে স্মৃতি হয়ে জমা থাকবে। ছবি: প্রবীর দাশ

একজন বাবা তার ছেলেকে উঁচু করে ধরলেন, যেন সে বাংলাদেশের জাতীয় ফল ছুঁয়ে দেখতে পারে। পাশ থেকে মা সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে রাখলেন। পারিবারিক অ্যালবামের একটি মধুর ঈদ স্মৃতি হয়ে থাকবে ছবিটি। ছবি: প্রবীর দাশ

দুটো বাঘ শুয়ে আছে, সম্ভবত একটু ঘুমিয়ে নিচ্ছে। ছবি: প্রবীর দাশ

প্রকৃতিও যেন দর্শনার্থীদের সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেছিল। বড় বড় গাছগুলোর ছায়ায় হেসে-খেলে সময় কাটিয়েছে পরিবারের সঙ্গে আসা শিশুরা। বাবা-মায়ের চোখেমুখে লেগেছিল আনন্দের ঝিলিক। কারণ এই কর্মব্যস্ত নগরীতে সন্তানদের এভাবে সময় দেওয়ার সুযোগ খুব কমই আসে।

Comments

The Daily Star  | English

Garment exports drop 12% in Q4

US trade measures and the NBR strike weighed on shipments

1h ago