ইয়ামালই এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়

মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ফুটবল বিশ্বে ইতিহাস গড়ে ফেললেন বার্সেলোনার বিস্ময়-বালক লামিন ইয়ামাল। ট্রান্সফারমার্কেটের সর্বশেষ বাজারমূল্য হালনাগাদে উঠে এসেছেন সবার ওপরে—বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারের আসনটি এখন তাঁর দখলে।

লা লিগায় খেলা ৪৮০ জন খেলোয়াড়ের বাজারমূল্য সম্প্রতি হালনাগাদ করেছে জার্মান ভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ফুটবল পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফারমার্কেট। যেখানে দেখা যায়, ইয়ামালের বাজারমূল্য এক লাফে মিলিয়ন ইউরো বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ মিলিয়ন ইউরোতে, যা বর্তমানে লা লিগা তো বটেই, বিশ্ব ফুটবলেও সর্বোচ্চ।

গত মৌসুমে এই স্থানটি দখলে রেখেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, যার মূল্য ছিল ২০০ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু চলতি মৌসুমে পারফরম্যান্সে ভাটা পড়ায় তার বাজারমূল্য কমে এসেছে ১৭০ মিলিয়ন ইউরোতে। ভিনির মতো একই পরিণতির শিকার হয়েছেন সতীর্থ রদ্রিগো, যার মূল্য কমেছে ১০ মিলিয়ন ইউরো, এখন দাঁড়িয়েছে ৯০ মিলিয়ন ইউরোতে।

অন্যদিকে কিলিয়ান এমবাপের দাম বেড়েছে। গত বসন্তে যার মূল্য কমে ১৭০ মিলিয়ন ইউরোতে নেমে এসেছিল, এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৮০ মিলিয়ন ইউরো। এমবাপে ও জুড বেলিংহ্যাম (যার মূল্য অপরিবর্তিত) এখন যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্যের খেলোয়াড়। তবে রিয়ালের অন্য ফরাসি মিডফিল্ডারদের মধ্যেও দেখা গেছে পতনের ধারা। অরেলিয়েন চুয়ামেনি'র মূল্য কমেছে ৫ মিলিয়ন ইউরো (এখন ৭৫ মিলিয়ন ইউরো), আর এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা'র কমেছে ১০ মিলিয়ন ইউরো (এখন ৬০ মিলিয়ন ইউরো)।

ইয়ামালের এই উত্থান মোটেও আকস্মিক নয়। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তিনি স্পেনকে ইউরো জেতান, এরপর ক্লাব পর্যায়ে বার্সার হয়ে ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল ও ২৫ অ্যাসিস্ট করে মৌসুম শেষ করেন। হান্সি ফ্লিকের অধীনে বার্সেলোনা এবার দাপটের সঙ্গে জিতেছে লা লিগা ও কোপা দেল রে। এছাড়া, সম্প্রতি ২০৩১ সাল পর্যন্ত বার্সার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে সম্মত হওয়ায় ক্লাবেও তার গুরুত্ব বেড়েছে বহুগুণে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্টার মিলানের কাছে নাটকীয়ভাবে বিদায় নিলেও ইয়ামালের পারফরম্যান্স ছিল চোখধাঁধানো। ট্রান্সফারমার্কটের বাজারমূল্য বিশ্লেষক টোবিয়াস ব্লাজেও বলেন, 'মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ফুটবল ইতিহাস লিখছে ইয়ামাল। ইউরো জয়ের পর এবার লিগও জিতেছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ছিল অসাধারণ। ওকে কারও সঙ্গে তুলনা করার দরকার নেই—ওর নিজস্ব এক স্টাইল আছে, যা দেখে দর্শকরা বিমোহিত হন।'

মূলত বার্সেলোনার দুর্দান্ত মৌসুমের প্রতিফলন দেখা যায় তাদের ফুটবলারদের বাজারমূল্যতে। ইয়ামাল ছাড়াও পাউ কুবারসি, রাফিনিয়া বা ফেরান তোরেসের মতো খেলোয়াড়রা গত মৌসুমের তুলনায় তাদের বাজারমূল্য ব্যাপক হারে বেড়েছে। পেদ্রির মূল্য ২০ মিলিয়ন ইউরো বেড়ে হয়েছে ১৪০ মিলিয়ন ইউরো, যিনি শীর্ষ-৭ এ অবস্থান করছেন। রাফিনিয়ার বর্তমান মূল্য ৯০ মিলিয়ন ইউরো—আগের চেয়ে ১০ মিলিয়ন বেশি। এরপর কুবারসি, যিনি এখন ৮০ মিলিয়নে মূল্যায়িত, এবং আগের তুলনায় ১০ মিলিয়ন ইউরো এগিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance rises 30% in July

Migrants sent home $2.47 billion in the first month of the current fiscal year

6h ago