করোনা সতর্কতা: ভারতসহ আক্রান্ত দেশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ

করোনার সংক্রমণ
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় খুব প্রয়োজন না হলে ভারতসহ আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ না করতে জনগণকে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সারা দেশের সব স্থল, নদী এবং বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নজরদারি ব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশিদ আজ সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এই নির্দেশনাটি গত ৪ জুন জারি করা হয়েছে এবং গতকাল তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দীর্ঘ বিরতির পর গত বৃহস্পতিবার একজন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এবং সংক্রমণের হার বাড়ছে। অধ্যাপক হালিমুর রশিদ আরও বলেন, গতকাল তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট, বিশেষ করে অমিক্রন এলএফ. ৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধ করতে, ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণকারী নাগরিকদের জন্য দেশের সকল স্থল, নৌ, বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম নিতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের সব প্রবেশপথে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য থার্মাল স্ক্যানার বা ডিজিটাল হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার (নন-কন্টাক্ট পদ্ধতি) ব্যবহার করে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার নির্দেশ দিয়েছে।

এছাড়াও, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, গ্লাভস এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে, জনসাধারণকে সচেতন করতে এবং ভাইরাস ছড়ানো ঠেকাতে সংক্রমণ প্রতিরোধ নির্দেশিকা প্রচার করতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে- প্রয়োজনে দিনে অন্তত সাতবার, প্রতিবার কমপক্ষে ২৩ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, নাক ও মুখ ঢেকে মাস্ক ব্যবহার, সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করা, হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় কনুই, টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক এবং মুখ ঢেকে রাখা।

এছাড়া, কেউ অসুস্থ হলে বাড়িতে অবস্থান করতে, পরিস্থিতি গুরুতর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এবং প্রয়োজন হলে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের হটলাইন নাম্বারে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Remittance rose 9% in August

However, August’s inflow was 2.22 percent lower than the previous month

2h ago