এ বছর ডিএসসিসিতে ১৬৬৭৫৪ পশু কোরবানি

ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া জানিয়েছেন, এ বছর ঈদুল আজহায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় এক লাখ ৬৬ হাজার ৭৫৪টি পশু কোরবানি হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
শাহজাহান মিয়া বলেন, ঈদের প্রথম দিন এক লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি, দ্বিতীয় দিন ৩১ হাজার ৭৪৫টি এবং তৃতীয় দিনে এক হাজার ৬৯২টি পশু কোরবানি হয়।
এদিকে চলতি বছরের জন্য কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করেছে ডিএসসিসি।
শাহজাহান মিয়া বলেন, 'ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে ৭৫টি ওয়ার্ড থেকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করে ডিএসসিসি। তৃতীয় দিন দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত সব ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে, মোট ৩১ হাজার ২২৬ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়।'
এ বছর ৩০ হাজার টন বর্জ্য পরিষ্কারের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছিল ডিএসসিসি, অর্থাৎ সিটি করপোরেশন নির্ধারিত সময়ের আগেই তার লক্ষ্য ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, 'ডিএসসিসির আওতাধীন আটটি অস্থায়ী পশুর হাটের বাঁশের খুঁটি, ভাসমান বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছে। এসব স্থানের বর্জ্য অপসারণের কাজ প্রায় শেষের পথে, শিগগিরই তা শেষ হবে বলে আশা করছি।'
কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসি ১২ হাজার ৮৫৩ জন কর্মী, বিভিন্ন আকারের দুই হাজার ৭৯টি যানবাহন এবং ৩৪৪টি যান্ত্রিক ডিভাইস মোতায়েন করেছিল।
ডিএসসিসি জানায়, কোরবানির পশুর হাট ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কার্যক্রম মনিটরিং ও সমন্বয়ের জন্য নগর ভবনের একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম ব্যবহার করা হয়।
প্রশাসক শাহজাহান মিয়া মাঠ পর্যায়ের সকল পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীদের নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি সহযোগিতার জন্য নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঈদের সময় জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রচারে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ও পেশাদার ভূমিকার কথা স্বীকার করেন।
Comments