নিকোর পছন্দ বার্সা, বার্সার পছন্দ দিয়াজ

আগেই বার্সেলোনা বোর্ড সাফ জানিয়ে দিয়েছিল—নিকো উইলিয়ামসের ব্যাপারে তারা আর একটিও শব্দ শুনতে চায় না। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত ক্ষুব্ধ ছিলেন অ্যাথলেটিক ক্লাব উইঙ্গারকে নিয়ে। কারণ? গত গ্রীষ্মে আর্থিক অনিশ্চয়তা ও ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে-সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে বার্সার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নিকো।

তখন বার্সার ভাষ্য ছিল, 'বার্সার ট্রেন একবারই আসে, তখন না উঠলে সেটা চিরতরের মতো চলে যায়।'

কিন্তু এবার চিত্রটা বদলেছে।

এবার নিজেই আগ্রহ দেখিয়েছেন নিকো উইলিয়ামস। জাতীয় দলের ক্যাম্পে তিনি তার বন্ধুদের (লামিন ইয়ামাল, পেদ্রি, দানি ওলমো প্রমুখ—সবাই বার্সার) জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ব্লাউগ্রানা জার্সি পরতে চান। বার্সেলোনা এ ব্যাপারে জানলেও শুরুতে কঠোর অবস্থানে ছিল। তবে সম্প্রতি এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন নিকোর এজেন্ট ফেলিক্স তাইন্তা। শুক্রবার বার্সেলোনায় স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকোর সঙ্গে সামনাসামনি বৈঠকে বসেন।

এই উদ্যোগ বার্সার সঙ্গে নিকোর সম্পর্কের বরফ গলানোর পথ খুলে দেয়। তবে লুইস দিয়াজ এখনো কাতালানদের প্রথম পছন্দ।

ডেকোর প্রাথমিক লক্ষ্য কিন্তু এখনো লিভারপুল উইঙ্গার দিয়াজ। কলম্বিয়ান এই তারকা নিজেও বার্সেলোনায় খেলতে আগ্রহী। তবে লিভারপুল এখনো তাকে ছাড়ার ব্যাপারে আলোচনায় বসতে রাজি নয়। তবু বার্সা আশা করছে, অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় লিভারপুলকে হয়তো শেষমেশ কিছু খেলোয়াড় বিক্রি করতে হবে, এবং সেই সুযোগে তারা দিয়াজের ব্যাপারে চাপ বাড়াবে।

তবে যদি লিভারপুল অনমনীয় অবস্থানে থাকে, তাহলে নিকো বিকল্পদের তালিকায় অন্তত এক নম্বরে ফিরেছেন। তবে নিকোর হাতে অন্য প্রস্তাবও আছে।

নিকোর প্রতি আগ্রহী বায়ার্ন মিউনিখ ও আর্সেনাল। পাশাপাশি অ্যাথলেটিক ক্লাবও একটি আকর্ষণীয় নবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে। তবু নিকো জানেন, জাতীয় দলের সাফল্যের পেছনে তার স্প্যানিশ সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া বড় ভূমিকা রেখেছে। আর তাদের বেশির ভাগই বার্সেলোনার ফুটবলার।

সে কারণে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজে থেকে জানাতে চেয়েছেন, 'আমি আগ্রহী, এখন তোমরা কী বলো?'

বার্সা এখনো দিয়াজকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অন্তত নিকো আর 'রুলড আউট' নন। আলোচনার টেবিলে তিনি আছেন, এবং এটাই এখন বার্সা সমর্থকদের জন্য বড় খবর।

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

7h ago