যুদ্ধ চাই না, বাধ্য হলে যোগ দেব: ট্রাম্প

ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

আমিও যুদ্ধ করতে চাই না। আমার যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই। তবে ব্যাপারটা যদি এমন দাঁড়ায় যে হয় আমরা যুদ্ধ করব আর নয় তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আসবে, তাহলে (আমাদের) যেটা করা উচিত, সেটাই করতে হবে। হয়তো আমাদের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ভুলবেন না: আমরা এখনো পর্যন্ত যুদ্ধে জড়াইনি।'

গতকাল বুধবার ওভাল অফিসে কথাগুলো বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তার মতে, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের বেঁধে দেওয়া শর্ত মেনে পরমাণু চুক্তিতে সই করতো, তাহলে এই সংঘাত শুরুই হোত না।

গত এপ্রিল থেকে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে পাঁচ দফা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ইরানের প্রতিনিধিরা। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল ইরানের ইউরেনিয়াম পরিশোধন সক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা—যাতে দেশটি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে না পারে।

ইরান বরাবরই বলে এসেছে, তাদের পরমাণু প্রকল্প বেসামরিক, শান্তিপূর্ণ ও জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে।

তা সত্ত্বেও, ট্রাম্প চলমান সংঘাতের জন্য ইরানকেই দায়ী করে বলেছেন, পরমাণু বোমা তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল ইরান। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যদি ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকে তাহলে 'গোটা বিশ্ব (বিস্ফোরণের দমকে) উড়ে যাবে।'

ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র। ফাইল ছবি: এএফপি
ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র। ফাইল ছবি: এএফপি

ট্রাম্প আরও বলেন, 'আমি ২০ বছর, বা তার চেয়েও বেশি সময় ধরে বলছি, ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকতে পারবে না। দীর্ঘদিন ধরে এটা বলে আসছি আর মনে করি, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের হাতে এরকম অস্ত্র চলে আসতো।'

সমালোচকরা বলছেন, এসব কথা বলে ট্রাম্প এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উপলক্ষ তৈরি করছেন। ইসরায়েলের পাশাপাশি তিনিও ইরানের ইউরেনিয়াম পরিশোধনাগারকে হুমকি হিসেবে দেখছেন।

গত শুক্রবার শুরু হওয়া হামলার কারণ হিসেবে ইরানের পরমাণু সক্ষমতার কথা বলে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের কাছেও পরমাণু অস্ত্র আছে বলেই সবাই জানেন। তবে তা কখনোই স্বীকার করেনি ইসরায়েল।

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

19h ago