কুদস ফোর্সের দুই কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

ইরানের তেহরানে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ছবিটি গত ১৮ জুনের। ছবি: রয়টার্স

রাজধানী তেহরানের পার্শ্ববর্তী কোম শহরে হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্সের 'ফিলিস্তিন কোর' কমান্ডার সাঈদ ইজাদিকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল।

আজ শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গণমাধ্যমকে পাঠানো বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, আজ কোম শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বিমান হামলা চালিয়ে বিপ্লবী গার্ডস (আইআরজিসির) কুদস ফোর্সের 'ফিলিস্তিন কোর' কমান্ডার সাঈদ ইজাদিকে হত্যা করা হয়।

ইজাদিকে 'হত্যা' করা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও বিমান বাহিনীর বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেন কাৎজ।

তিনি বলেন, ইজাদি ২০২৩ সালে হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন। এরপর গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়।

ইরানি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, কোমের খোরামাবাদে ইসরায়েলের হামলায় বিপ্লবী গার্ডসের পাঁচ সদস্য নিহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হলেও ইজাদির নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এ ছাড়াও, ইসরায়েল কোমের এক আবাসিক ভবনে হামলা চালালে এক কিশোর নিহত ও দুইজন আহত হয়।

প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে ইজাদি একই হামলায় নাকি পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী পরে আরও জানায়, পশ্চিম তেহরানে আরেকটি পৃথক হামলায় বেনহাম শারিয়ারি নামে কুদস ফোর্সের আরও এক কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর কাছে অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, শারিয়ারিই হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট সরবরাহ করতেন, যা দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়।

তবে এই দুই কমান্ডার নিহত হওয়ার বিষয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড কোরের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ বলেন, ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছিলেন ইজাদি। তার হত্যাকাণ্ডকে 'ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ও বিমানবাহিনীর জন্য একটি বড় সাফল্য' বলে তিনি অভিহিত করেন। হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আগেই ইজাদির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

Comments

The Daily Star  | English

‘Engaging all, including Myanmar govt and Arakan Army, to resolve Rohingya crisis’

Khalilur Rahman says refugees seek a dignified return with rights restored and accountability ensured

24m ago