বোকা জুনিয়র্সে মুগ্ধ গার্দিওলা

দুই ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট। ফলে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে অনেকটাই বিদায়ের পথে আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্স। তবে তাদের খেলার ধরণ দারুণ মুগ্ধ করেছে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা কোচ পেপ গার্দিওলাকে।

আরব আমিরাতের ক্লাব আল-আইনের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সোমবার সকালে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের প্রতি গভীর ভালোবাসার কথা অকপটে প্রকাশ করেছেন গার্দিওলা।

বোকা জুনিয়র্সের খেলা দেখেই যেন অভিভূত হয়ে যান এই কোচ, 'আমি বোকা জুনিয়র্সের খেলা দেখি আর ভাবি, ওরা যেভাবে প্রতিটি বলের জন্য লড়ে, এটা যেন একটা যুদ্ধ। একেকটা মুহূর্ত যেন পৃথিবীর শেষ। ওদের খেলায় যে তীব্রতা থাকে, সেটা অসাধারণ।'

দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলো যেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, যেভাবে আত্মবিশ্বাস ও তীব্র প্রতিরোধ নিয়ে মাঠে নামে, তা প্রশংসার দাবিদার বলে জানান গার্দিওলা, 'আমি পছন্দ করি এই প্রতিযোগিতায় যখন দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলোর মুখোমুখি হতে হয়। ওদের প্রতিটি ম্যাচই কঠিন হয়। সবাই বলে "ইউরোপিয়ান দল হারলো, কী বিস্ময়কর!" আমি তো বলি—বাস্তব জগতে স্বাগতম।'

ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগো ও ফ্ল্যামেঙ্গোর হাতে যথাক্রমে পিএসজি ও চেলসির পরাজয়ের উদাহরণ টেনে গার্দিওলা বলেন, দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবল এখনই দৃষ্টি আকর্ষণ করছে, এবং ভবিষ্যতে তিনি নিজেও এই মহাদেশে কাজ করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

'কেন নয়? ইতিহাসে ফুটবলের অনেক ভালো কিছু এসেছে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে—সব দেশ থেকেই এসেছে অসাধারণ খেলোয়াড়,' বলেন এই স্প্যানিশ কোচ।

'সেরা খেলোয়াড়দের অনেকেই দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এসেছে। পরে তারা ইউরোপে এসেছে অর্থনৈতিক সুযোগ ও খ্যাতির কারণে। কিন্তু ওদের মধ্যে এক ধরনের ভিন্ন সংস্কৃতি আছে। ওদের ভক্তরা প্রতিটি মুহূর্ত খুব গভীরভাবে উপভোগ করে। আমি এটা ভালোবাসি। প্রতিযোগিতায় এই ব্যাপারগুলোই আসল,' যোগ করেন গার্দিওলা।

নিজ দলের খেলোয়াড়দেরও দক্ষিণ আমেরিকান দলের শক্তি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন গার্দিওলা। ভবিষ্যতে হয়তো নিজেই এই অঞ্চলে কোচিংয়ে নামতে পারেন জানিয়ে বলেন, 'দক্ষিণ আমেরিকায় অনেক ঐতিহাসিক ক্লাব আছে—বোকা জুনিয়র্স, রিভার প্লেট, বোতাফোগো, সান্তোস, পালমেইরাস... ক্লাবগুলো ঘিরে যে আবেগ, সেটা অসাধারণ। আমি এই সম্ভাবনাকে বন্ধ করে দিচ্ছি না। জীবনে কখন কী ঘটে বলা যায় না, আমি সবকিছুর জন্য উন্মুক্ত।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Designed to inflict high casualties

A closer look at police’s arms procurement records reveals the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

5h ago