জুভেন্তাসকে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি

চলতি মৌসুমটা একেবারেই নিজেদের মতো যায়নি ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটির। থাকতে হয়েছে ট্রফিশূন্য। তবে শেষ দিকে এসে ছন্দ খুঁজে পেয়েছে দলটি। ক্লাব বিশ্বকাপে তো ইতালির অন্যতম সফল ক্লাব জুভেন্তাসকে রীতিমতো গোলবন্যায় ভাসিয়েছে। তাতে গ্রুপে শীর্ষে থেকেই নকআউট পর্বে উঠেছে দলটি।

বৃহস্পতিবার ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের 'জি' গ্রুপের ম্যাচে জুভেন্তাসকে ৫-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। আসরে টানা তাদের টানা তৃতীয় জয় এটা। দলের হয়ে একটি করে গোল করেছেন জেরেমি ডকু, আর্লিং হালান্ড, ফিল ফোডেন ও সাভিনিয়ো। অপর গোলটি আসে আত্মঘাতীর সুবাদে। জুভেন্তাসের হয়ে গোলদুটি করেছেন তেউন কুপমেইনার্স ও দুসান ভ্লাহোভিচ।

এই জয়ে সিটির জন্য আরেকটি বড় প্রাপ্তি ছিল, ২০২৪ সালের ব্যালন ডি'অর জয়ী রদ্রির মাঠে ফেরা। সেপ্টেম্বরে হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর এই প্রথমবার মূল একাদশে মাঠে নামেন তিনি। তাকে পেয়ে এদিন পেপ গার্দিওলার তরুণ ও নতুন মুখে ভরা দলটি ছিল অনেক বেশ প্রাণবন্ত ও আক্রমণাত্মক।

ম্যাচের শুরু থেকেই সিটি ছিল ছন্দে। পঞ্চম মিনিটে বের্নার্দো সিলভার হেডার জুভেন্টাস গোলরক্ষক মিশেল দি গ্রেগরিও পায়ের জাদুতে রক্ষা করেন। এর চার মিনিট পরই গোল পায় সিটি। ধৈর্যশীল ও পরিকল্পিত আক্রমণের এক দারুণ নিদর্শনে রায়ান এইত-নুরি দুর্দান্ত এক পাসে জুভেন্তাস রক্ষণ ভেদ করেন, যা ধরে ডকু বল পাঠান পোস্টে।

তবে সিটির গোলরক্ষক এদেরসনের ভুল পাসের সুযোগে ১৩তম মিনিটে সমতা ফেরায় জুভেন্তাস। বল কেড়ে নিয়ে কুপমেইনার্স ডি-বক্সে ঢুকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গোল করেন। তবে সেই উপহার ফিরিয়ে দেয় জুভেন্তাসই। ২৬তম মিনিটে কোনো চাপ ছাড়াই ফরাসি ডিফেন্ডার পিয়েরে কালুলু সিটির মাতেউস নুনেসের নিচু ক্রস নিজ জালেই ঠেলে দেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গার্দিওলা মাঠে নামান তার নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন আর্লিং হালান্ডকে। মাঠে নামার মাত্র সাত মিনিট পরই তিনি গোল পান। তিজিয়ানি রেইন্ডার্সের পাস থেকে নুনেস নিচু ক্রস দেন, যার ঠিক মাঝখানে ছিলেন একদম ফাঁকা হালান্ড। যদিও কাছ থেকে করা শটটি খুব একটা নিখুঁত ছিল না, তবু সেটিই ছিল তার ক্যারিয়ারের ৩০০তম গোল।

৬৬তম মিনিটে রদ্রি মাঠ ছাড়লে তার স্থলাভিষিক্ত হন ইলকাই গুন্দোগান। কিন্তু তাতে সিটির গতি একটুও কমেনি। এদেরসনের লম্বা পাস ধরে হালান্ড বল বাড়ান ফিল ফোডেনের দিকে, যদিও বলটি তার নাগালে ছিল না। তবে পেছন থেকে ছুটে এসে ব্রাজিলিয়ান তরুণ সাভিনিয়ো বলটি ধরে গোলমুখে ফিরিয়ে দেন ফোডেনের জন্য। সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।

এরপর আবারও সাভিনিয়ো! হালান্ডের শট গোলরক্ষক দি গ্রেগরিও পায়ে ঠেকিয়ে ফিরিয়ে দিলে বলটি ধরে এক দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেন সাভিনিয়ো। বলটি বারপোস্টে লেগে জালে ঢুকে পড়ে – স্কোরলাইন হয় ৫-১।

জুভেন্তাস অবশ্য একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েনি। ম্যাচের শেষদিকে কেনান ইলদিজের চমৎকার কন্ট্রোল এবং বুদ্ধিদীপ্ত পাস থেকে ভ্লাহোভিচ বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে এদেরসনকে পরাস্ত করেন। এই গোলে কিছুটা সম্মান বাঁচায় তুরিনের দল।

Comments

The Daily Star  | English

Next nat'l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

Ensuring free and fair polls is now the main responsibility of EC and govt, he says

1h ago