কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫ 

কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার সকালে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধান আসামি ফজর আলীকে (৩৬) আজ ভোর পাঁচটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিও ধারণ ও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিট্টা গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ফজর আলীর বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা তাকে আটক করে মারধর করেন। তবে তিনি তখন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ঘটনার সময় কয়েকজন ব্যক্তি ওই নারীর একটি ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন।

খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে। পরে ওই নারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ইতোমধ্যে ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন—সুমন, রমজান, মো. আরিফ ও মো. অনিক।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লায় ছুরি দেখিয়ে ২১ বছর বয়সী ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই নারী সপ্তাহ দুয়েক আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের অন্য সদস্যরা মেলায় গেলে, প্রতিবেশী ফজর আলী (৩৬) বাড়িতে ঢোকেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই প্রতিবেশী তাকে ছুরি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন এবং ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যার হুমকি দেন।

এতে আরও বলা হয়, তিনি চিৎকার করলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং তারা ফজর আলীকে মারধর করেন।

পরবর্তীতে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীর ভিডিও ধারণ করেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

Comments

The Daily Star  | English

New Tk 100 banknote to be released next week

The new note will be similar in size to existing one

1h ago