দখলবাজ-চাঁদাবাজদের স্থান বিএনপি বরদাশত করে না: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

কোনো দখলবাজ-চাঁদাবাজকে দলে 'বরদাশত' করা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপিতে এ দেশের সব ধর্ম ও বর্ণের সজ্জন মানুষ ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশায় যুক্ত ব্যক্তিরা সদস্য হতে পারেন উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার রিজভী বলেন, 'সমাজবিরোধী কোনো ব্যক্তি, দখলবাজ, চাঁদাবাজদের স্থান এই দল বরদাশত করে না। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু দল যখনই এ ধরণের ঘটনা অবহিত হয় তখনই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দ্বিধা করেনি।'

তিনি বলেন, 'বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই গণতান্ত্রিক সংবিধান ও সুশাসনের জন্য আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্মাণ করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং এর জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে এসেছে। এই দল মনে করে, একটি আদর্শ রাষ্ট্র ও সমাজে নেতৃস্থানীয় মানুষদের যোগ্যতা, দক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা, সৎ ও মানবিক গুণাবলী থাকা ব্যক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই উল্লিখিত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। জাতীয়তাবাদী শক্তির সমবেত ধ্বনি হচ্ছে সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।'

প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণেই 'মব কালচার'র প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, 'অবৈধ কালো টাকা এবং গোপন অপতৎপরতার প্রভাবে "মব কালচার" র নামে সমাজে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপির নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই পরিকল্পিত অপপ্রচার, অপতৎপরতা, কৃত্রিমভাবে তৈরি সামাজিক অশান্তি গণতন্ত্রের পথচলাকে বাধাগ্রস্ত করা এবং নির্বাচন পেছানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বলে জনগণ মনে করে। শেখ হাসিনার আমলে অদ্ভুত উন্নয়নের বয়ানের মতো এখন নির্বাচন পেছানো নিয়ে নানা ধরণের বয়ান দেওয়া হচ্ছে।'

ইতোমধ্যে বেশকিছু দলীয় নেতাকর্মীকে বহিষ্কার, অব্যাহতি প্রদান, পদ স্থগিত, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী অভিযোগ করেন, 'দলের পক্ষ থেকে এহেন চলমান সাংগঠনিক ব্যবস্থার বিষয়ে গণমাধ্যমে খুব একটা উল্লেখ করা হয়নি। উপরন্তু, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঢিলেঢালা ভূমিকা রহস্যজনক। দলের পক্ষ থেকে বারবার অপরাধী ও বিশৃঙ্খলাকারিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলেও প্রশাসন নির্বিকার থাকছে। দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দল থেকে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না।'

তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন খুব একটা সক্রিয় হয়নি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কলকাঠি নাড়ছেন বলে স্পষ্টত: প্রতীয়মান হয়।'

'আওয়ামী আমলের কালো টাকা ও তাদের দোসরদের "আন্ডারগ্রাউন্ড" তৎপরতার কারণে দুষ্কৃতিকারীরা আশকারা পাচ্ছে এবং সমাজে নৈরাজ্য তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টির আলামত দেখা যাচ্ছে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Sada Pathor Looting: Admin officials, law enforcers involved

Some government officials  including members of law enforcement agencies were involved in the rampant looting of stones from Bholaganj’s Sada Pathor area, found a probe committee of the Sylhet district administration.

5h ago