‘কবরী ছিলেন স্বপ্নের নায়িকা’

সারাহ কবরী। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল

১৯৭০ সালে মুক্তি পায় কবরী ও উজ্জ্বল অভিনীত সিনেমা 'বিনিময়'। পরিচালক ছিলেন সুভাষ দত্ত। নায়ক উজ্জ্বলের ক্যারিয়ারে এটিই প্রথম সিনেমা। তারপর তিনি নায়ক হিসেবে অসংখ্য সিনেমা করেছেন। তবে, প্রথম সিনেমার নায়িকা কবরী তার স্মৃতিতে এখনো অনন্য হয়ে আছেন।

'মিষ্টি মেয়ে' খ্যাত নায়িকা কবরীর প্রয়াণ দিবস আজ ১৯ জুলাই।

প্রথম সিনেমার নায়িকা কবরীকে নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের কাছে স্মৃতিচারণ করেছেন 'মেগাস্টার' খ্যাত নায়ক উজ্জ্বল।

উজ্জ্বল বলেন, ১৯৭০ সালে 'বিনিময়' সিনেমার মহরত হয়েছিল। মুক্তিও পেয়েছিল ওই বছর। বিখ্যাত নির্মাতা সুভাষ দত্ত আমাকে প্রথম সিনেমার নায়ক বানান। আর প্রথম সিনেমায় নায়িকা হিসেবে পাই কবরীকে। সিনেমাটি মুক্তির পর সুপার-ডুপার হিট করেছিল। আমার জীবনে নতুন পথ চলা শুরু হয়।

'ক্যারিয়ারে অনেক নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করেছি। অনেক সফল সিনেমা উপহার দিয়েছি। কিন্তু প্রথম সবকিছু অন্যরকম। প্রথমের কথা মনে পড়ে সবসময়। তেমনই প্রথম নায়িকা হিসেবে কবরীর কথাও মনে পড়ে। তিনি আজ নেই। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।'

নায়িকা কবরীর সঙ্গে নায়ক উজ্জ্বল। ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, কবরী যখন জনপ্রিয় নায়িকা, আমি তখন টেলিভিশনে নাটক করি, মঞ্চ নাটক করি। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। তারপর সুযোগ এলো। সুভাষ দত্ত আমাকে স্বপ্ন-পূরণের সুযোগ করে দিলেন।

'বিনিময় সিনেমার প্রথম শুটিং করি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে। সেখানেই প্রথম ভালোভাবে কবরীকে দেখা। তার আগে সিনেমায় তাকে দেখেছি। সত্যি বলতে, কবরী অনেক মানুষের স্বপ্নের নায়িকা ছিলেন। কেননা, সেই সময় তিনি বিপুল জনপ্রিয় ছিলেন। আমার স্বপ্নের নায়িকা ছিলেন কবরী। স্বপ্নের নায়িকার সঙ্গে সিনেমা শুরু করি। স্বপ্নের নায়িকা হয়ে যায় আমার সিনেমার নায়িকা।'

সিলেটের শুটিংয়ের স্মৃতির কথা উল্লেখ করে উজ্জ্বল বলেন, সেখানে শুটিং করতে গিয়ে ধীরে ধীরে কবরীকে আবিষ্কার করি। তার ভেতরকার শিল্পীসুলভ বিষয়টি ব্যাপকভাবে আছে। এজন্যই তিনি এত বড় শিল্পী হতে পেরেছিলেন। নতুনদের সুযোগ দিতেন। নতুনদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতেন। আমি যে নতুন নায়ক তা বুঝতেই দেননি।

সারাহ কবরী। ছবি: সংগৃহীত

'কবরীর সঙ্গে নতুন হলেও টেলিভিশন নাটকে আমিও পরিচিত ছিলাম। কিন্তু সিনেমা অন্য বিষয়। টানা শুটিং করলাম। কবরীর সহযোগিতা পেলাম। পরিচালকের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পেলাম। তারপর ভালোভাবে শুটিং শেষ হলো। সিনেমাটি মুক্তির পর আমাদের জুটিকে দর্শকরা গ্রহণ করেন। সেই থেকে আমার প্রথম সিনেমার নায়িকা কবরীর সঙ্গে সম্পর্ক শুরু হলো। তার ভেতরে সারাজীবন শিল্পীসুলভ আচরণটাই পেয়েছি।'

এই নায়ক আরও বলেন, কবরীকে মূল্যায়ন করে বলতে হয়, অনেক বড় মাপের একজন শিল্পী ছিলেন তিনি। অভিনয়ই ছিল তার সব। অভিনয় ভালোবাসতেন। অভিনয় নিয়ে সাধনা করতেন। যার জন্য মানুষের হৃদয়ে তার নামটি গেঁথে আছে। আজ তিনি নেই। সহশিল্পী বলি, প্রথম সিনেমার নায়িকা বলি, তিনি আর আসবেন না। তার সঙ্গে থাকা স্মৃতিগুলো রয়ে যাবে। প্রয়াণ দিবসে তার জন্য আশীর্বাদ।

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

9h ago